এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গুলিকাণ্ডে বহিস্কৃত তৃণমূলের দাপুটে বাহুবলী নেতার ভিডিও গোপন ডেরা থেকে, চাঞ্চল্য রাজ্য জুড়ে

গুলিকাণ্ডে বহিস্কৃত তৃণমূলের দাপুটে বাহুবলী নেতার ভিডিও গোপন ডেরা থেকে, চাঞ্চল্য রাজ্য জুড়ে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হেভিওয়েট নেতাকে বহিষ্কার করেও অস্বস্তি কমল না তৃণমূল কংগ্রেসের। বরঞ্চ অভিযুক্ত সেই নেতার একটি ভিডিও বার্তা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের বিড়ম্বনা দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হুগলি জেলা রাজনীতিতে। মূলত, তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর শুদ্ধিকরণের ওপর জোর দিতে শুরু করেছিল। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় যারা দলবিরোধী কাজ এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

সেই মত করে বাঁশবেড়িয়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই সত্যরঞ্জন শীল গা ঢাকা দেওয়া অবস্থায় ভিডিও করে যে বার্তা দিলেন, তা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অস্বস্তিও যে বাড়ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী গুলিবিদ্ধ হন। আর এই ঘটনার পেছনে সত্যরঞ্জন শীলের হাত রয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এমনকি সেই সত্যরঞ্জন শীলের বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই সেই সত্য রঞ্জনশীলের সহধর্মীনি অরিজিতা শীল, যিনি বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক ছিলেন, তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বার্তা দেওয়া হয় যে, দল কোনোভাবেই অন্যায় বরদাস্ত করবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পর থেকেই পলাতক হয়ে যান সেই সত্যরঞ্জনবাবু এবং তার সহধর্মিণী। কিন্তু হঠাৎ করেই এদিন একটি ভিডিও বার্তা দেন সেই সত্যরঞ্জন শীল। যেখানে তার প্রতি অন্যায় হয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” বলে সম্বোধন করে সুবিচারের আবেদন করতে দেখা যায় তাকে। শুধু তাই নয় “প্রিয় দাদা” বলেও একটি শব্দ উল্লেখ করেন বহিস্কৃত এই তৃণমূল নেতা। “দিদি” বলে যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করেছেন সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত সকলের কাছে। কিন্তু “প্রিয় দাদা” বলে তিনি কার কথা বোঝাতে চাইলেন, এখন তা নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

একাংশ বলছেন, এই “দাদা” শব্দ প্রয়োগ করে তিনি বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পর তৃণমূলের একাংশ কি এখনও পর্যন্ত এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন! সেই বিষয়টি ক্রমাগত মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। অর্থ্যাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে সত্যরঞ্জন শীল এবং তার স্ত্রী-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ নেই – এই ব্যাপারটি বোঝানোর চেষ্টা হলেও, ওই ভিডিও বার্তার পরে তৃণমূলের একাংশ যে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন বাঁশবেড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তির বিষয়টি পুলিশি তদন্তের আওতায় আছে। আমি এটুকু বলতে পারি, আমার দল তো বটেই। আমিও কোনো অন্যায় বরদাস্ত করব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলাতক হয়েও যেভাবে তৃণমূলের এই বহিস্কৃত নেতা ভিডিও বার্তা দিলেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বাইরে থেকে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু পুলিশ এখন হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছে। স্বাভাবিক ভাবেই কবে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!