‘দিদির’ দেখানো পথেই জনসংযোগে ‘নতুন পন্থা’ নিলেন দিদির একান্ত অনুগত সৈনিক উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 6, 2019 পাহাড় মানে এক সময় ছিল সুভাষ ঘিসিং, কিন্তু তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সেই স্থান দখল করে নেন বিমল গুরুং। অন্যদিকে, রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে বিমল গুরুং, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। একসময় তো তিনি তৃণমূল নেত্রীকে ‘পাহাড়ের মা’ বলেও আখ্যায়িত করেন। কিন্তু সময় বদলেছে – এখন বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্ক বলতে গেলে আদায়-কাচঁকলায়! ফলে বিমল গুরুংকে পাহাড় ছাড়া করে, সেই জায়গা দখল করে নিয়েছেন বিনয় তামাংরা। বিনয় তামাং ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। কিন্তু, বর্তমানে তিনি পাহাড়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন বলে জল্পনা বেড়েছে। তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে, পাহাড়ে জনসমসার্থন হারিয়েছেন তিনি। যে কারণেই সম্প্রতি হয়ে যাওয়া দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজে প্রার্থী হয়েও জিততে পারেননি। বরং ‘মেঘনাদের’ মত আড়ালে থেকেই বাজিমাত করেছেন বিমল গুরুং। বাকিরা আবার ঝুঁকেছেন সুভাষ ঘিসিংয়ের ছেলেরে নেতৃত্বাধীন জিএনএলএফের দিকে। পাশাপাশিই জিটিএ নিয়েও উঠেছে একগুচ্ছ অভিযোগ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এইসব সমীকরণকে মাথায় রেখে, ‘দিদির’ একান্ত অনুগত সৈনিক বলে পরিচিত বিনয় তামাং এবার জনসংযোগের জন্য নিলেন নতুন পন্থা। দিদির দেখানো পথেই ‘দিদিকে বলো’ অনুকরণ করে তিনি পাহাড়ের মানুষের অভিযোগ বা পরামর্শ জানানোর জন্য চালু করলেন একটি সর্বজনীন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এখানে জিটিএর অধীনে থাকা অধিবাসীরা নিজেদের মনের কথা তুলে ধরবেন বলেই তিনি আশা বয়কট করেছেন। কিন্তু, বিনয় তামাংয়ের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের মোদ্দা কথা, তৃণমূলের পাশাপাশি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও বর্তমানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে, মানুষকে বোকা বানাতে এই ধরণের মগজ ধোলাই করানো হচ্ছে! অনেকে আবার সোচ্চার হয়েছেন কাটমানি প্রসঙ্গে। ফলে, জনসংযোগের নতুন পন্থা নিলেও, বিনয় তামাংরা আপাতত বিরোধীদের আস্থা পাচ্ছেন না। যদিও, বিনয় তামাং নিজে এই নিয়ে আশাবাদী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেকের অনেক রকম সমস্যা বা অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি নিয়ে যেখানে সেখানে ক্ষোভ না জানিয়ে, যেখানে জানালে কাজ হবে, সেখানে জানানো উচিত। আমরা সেই উদ্দেশ্যে এই নম্বরটি চালু করেছি। সবমিলিয়ে, পাহাড়ের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরী করতে তিনি কিন্তু আশাবাদী তাঁর এই নতুন পদক্ষেপ নিয়ে। আপনার মতামত জানান -