গো-বলয়ই কি গুলিয়ে দিল লোকসভার ভোট অঙ্ক? সাধারণ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা খোদ গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 13, 2018 ১৯’এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই। কিন্তু ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে এখনো কোনো আলোচনায় বসেনি নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই ভোট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছে। আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সেইমতোই নির্দেশ পেয়ে রাজ্যে রাজ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিজেপি নেতারা। একই ছকে এগোচ্ছিল বঙ্গ বিজেপি শিবির। জোরদার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মেতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়েরা। উল্লেখ্য, এর মাঝেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল সব সমীকরণ ওলটপালট করে দিল। চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে মোদী-শাহদের। বিজেপির এই অপ্রত্যাশিত পরাজয় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণাকে। বছর ঘুরতেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। কিন্তু তার আগেই জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্যেরই বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থান, ছত্তিশগড় তো বটেই এমনকি মধ্যপ্রদেশেও সরকার গঠনের পথে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের আগে এই অপ্রত্যাশিত পরাজয় একটু হলেও মনোবল নষ্ট করে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের। অন্যদিকে বিজেপির হার থেকে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ পেল কংগ্রেস বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। নির্বাচনের ফলাফলের পর কংগ্রেস কর্মীদের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে এই জয় তাঁদের কতোটা দরকার ছিল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কংগ্রেসের এই সাফল্যের ফলে বিজেপি বিরোধী মহাজোট যে আরো শক্তিশালী হতে চলছে তা নিয়ে সন্দেহ থাকল না আর রাজনৈতিক মহলের। আর এটাই চিন্তার কারণ হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ত্বের। গোটা দেশের প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াই কংগ্রেসকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিল। এরকম অবস্থায় হিন্দি বলয়েই যদি বিজেপির এভাবে কোনঠাসা অবস্থা হয় তাহলে দেশের অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচনের পরিনাম কী হবে তা ভেবেই রীতিমতো উদ্বেগে পদ্মশিবির কর্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভা ভোট কবে হবে তা নিয়ে রীতিমত সংশয় তৈরি হয়েছে। ২০০৪ সালে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার মূল্য, ক্ষমতাচ্যূত হয়ে চোকাতে হয়েছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীকে। অতীতের ঘটনা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে আগামী লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা বা পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন নরেন্দ্র মোদী, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে দেওয়ার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। হিসেবমতো মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহেই ভোট হওয়ার কথা পশ্চিম বাংলায়। সেইমতো ছক কষেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা। তাছাড়া, বর্তমানের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আগের বিবেচিত সময়েই কি ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হবে, নাকি ঘুরে দাঁড়ানোর রণকৌশল স্থির করতে বিজেপি কিছুটা সময় নেবে আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কিছুদিন ব্যস্ত থাকবে ভারতীয় জনতা পার্টি – এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। আপনার মতামত জানান -