এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গদ্দারদের প্রশ্নবানে বিদ্ধ করা তৃনমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ গৌতমকে জেতানো, সরগরম দিনাজপুর!

গদ্দারদের প্রশ্নবানে বিদ্ধ করা তৃনমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ গৌতমকে জেতানো, সরগরম দিনাজপুর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যারাই বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাদের সকলকে গদ্দার বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার ফলে অন্য দলে যোগদান করা তৃনমূলের সেই সমস্ত প্রাক্তন নেতাদের কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বিধানসভায় তৃনমূল প্রার্থীকে নিয়ে এবার নয়া অস্বস্তিতে পড়তে হল ঘাসফুল শিবিরকে।

যেখানে তৃণমূলের “গদ্দার” মন্তব্যের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে এল তৃণমূলের দিকেই। বলা বাহুল্য, একসময় বাম এবং কংগ্রেস জোটের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন গৌতম দাস। কিন্তু গঙ্গারামপুর বিধানসভা থেকে তিনি একদলের টিকিটে জয়লাভ করলেও, পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর থেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীদের একাংশ। কেন এক্ষেত্রে গৌতমবাবুর বিধায়ক পদ খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে এবার সেই গৌতম দাসকে আবার গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করায় “গদ্দার” শব্দ প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিকতা পেতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালে বাম এবং কংগ্রেসের টিকিটে গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন গৌতম দাস। পরবর্তীতে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে যোগদান করেন ঘাসফুল শিবিরে। আর তারপর তাকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তখন থেকেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, গৌতম দাস জয়লাভ করেছিলেন বাম এবং কংগ্রেসের টিকিটে। কিন্তু এখন তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে একদলের টিকিটে জয়লাভ করে কেন তিনি অন্য দলে যোগদান করার পরেও তার বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। এক্ষেত্রে তৃণমূল তাদের দল থেকে কেউ অন্য দলে গেলে যেভাবে সেই সমস্ত নেতাদের বিশ্বাসঘাতক এবং গদ্দার বলে, সেই একই কথা তুলে ধরে গৌতম দাসকে গদ্দার বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন বাম এবং কংগ্রেসের একাংশ।

কিন্তু এবার সেই গৌতম দাস আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট পাওয়ায় বিরোধীদের “গদ্দার” বলে আক্রমণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব, সেই “গদ্দার” বলে তৃণমূলের প্রার্থীকে আক্রমন করতে শুরু করল বিরোধীরা। অনেকে বলছেন, গঙ্গারামপুর বিধানসভায় এবার অন্য চিত্র দেখা দিতে পারে। এখানে বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে দুই গদ্দার লড়াই হচ্ছে। তাই মানুষ এবার সংযুক্ত মোর্চাকে সমর্থন করবেন।

এক্ষেত্রে গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের সত্যেন্দ্রনাথ রায় তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর তিনি বিজেপির টিকিট লড়াই করছেন। অন্যদিকে বাম এবং কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করার পর তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতম দাস এবার তৃণমূল প্রার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই বাম, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এই দুই ব্যক্তিই হলেন গদ্দার। তাই তাদের বিরুদ্ধে মানুষ এবার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে সমর্থন করবেন।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এতদিন দলত্যাগী নেতাদের “গদ্দার” বলে আক্রমণ করা হত, সেই তৃণমূল গঙ্গারামপুর বিধানসভায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল‌। এখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূল প্রার্থীর দিকে ছুড়ে দেওয়া হল “গদ্দার” শব্দ। এখন দেখার বিষয়, এই “গদ্দার” শব্দকে খন্ডন করে গঙ্গারামপুরের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দাস নিজের গড় ধরে রাখতে পারেন কিনা, জার্সি বদল করলেও নিজের জনপ্রিয়তা অটুট রেখে তিনি গঙ্গারামপুরে ঘাসফুল ফোটাতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!