এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > গোঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিজনদের পুলিশ অপহরণ করেছে? বিজেপির বিস্ফোরক অভিযোগে উত্তাল রাজ্য

গোঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিজনদের পুলিশ অপহরণ করেছে? বিজেপির বিস্ফোরক অভিযোগে উত্তাল রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি হুগলি জেলার গোঘাটে বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের প্রানহীন দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর থেকে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। এই ঘটনার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব দায়ী করেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং সেইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশ কে। তাঁদের অভিযোগ শাসকদল ও পুলিশের যোগসাজসেই এমন কান্ড ঘটেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার আরামবাগের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে ধর্ণা ও বিক্ষভ প্রদর্শন করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ সহ বেশকিছু নেতৃবর্গ ও সেইসঙ্গে দলের অন্যান্য কর্মীরা।

প্রসঙ্গত মৃত বিজেপি কর্মী গণেশের বাড়িতে যাবার পরিকল্পনা ছিল এই বিজেপি নেতাদের। কিন্তু তাঁরা তাঁদের সেই পরিকল্পনার কিছুটা বদল ঘটিয়ে আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন। যখন তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তাঁরা মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে না গিয়ে পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে কেন ধর্ণা করলেন? এর উত্তরে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ” আমরা তো এখানে ঢাক বাজাতে আসিনি। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর পরিজনেরা বাড়িতে নেই। পুলিশ তাঁদের অপহরণ করেছে। তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে এলাকায় সন্ত্রাস করছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাই অবিলম্বে মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে বদলি করতে হবে। সেই দাবিতেই আমরা ধরনায় বসেছি।”

বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আরও জানালেন যে, গণেশ রায় ছিলেন একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন সেইসঙ্গে গরু কেনাবেচাও করতেন। যেদিন বিকেল থেকে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন, তার পরদিন সকালেই তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পা মাটি স্পর্শ করেছিল। তাই এভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু অসম্ভব বলেই মনে করছেন তিনি। তাই তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের অপসারণ দাবি করেছেন। যা না হলে তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুলিশ অভিযোগের কাটগড়ায় তুলেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ গুলি, বন্ধুকের সরবরাহ করেছেন এসডিপিও। তিনি আরো জানান গতকাল এ ঘটনার পর বিভিন্ন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা পর্যন্ত চালানো হয়েছে। তাই তিনি এসডিপিওর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বললেন যে, এসডিপিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরামবাগকে উপহার দিতে চেয়েছেন, কিন্তু জনগণ সেটা কিছুতেই মেনে নেবে না।

প্রসঙ্গত, তিনি আরো জানালেন, ” আমরা গণেশ রায়ের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি বলেছিলেন এত লোকজন নিয়ে যাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র কয়েকজন ভিআইপি ছাড়া কেউ যেতে পারবে না। আমাদের দলের কেউ ভিআইপি নয়। সবাই আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর অফিসের সামনে ধরনা ও পুলিশ, শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জ্ঞাপন সম্পর্কে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন, ” স্থানীয়রা বাস্তবটা বুঝে গিয়েছেন। তাই বিজেপি এখন অপহরণের গল্প ফাঁদছে। বলছে বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনকে নাকি কিডন্যাপ করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলার মাটি তাঁরা খুঁজে না পেয়ে এসব গল্প আবিষ্কার করছে। আমরা মানুষের সঙ্গে ছিলাম। মানুষের পাশে আছি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেছি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!