সোনা পাচার কাণ্ডে নাম জড়ালো শিক্ষামন্ত্রীর! ক্রমশ বিরোধীদের চাপ বাড়ছে এই মুখ্যমন্ত্রীর উপর! জাতীয় August 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে যথোপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে যখন কেরালা সরকারের একের পর এক বাহবা ও প্রসংসাবার্তা জুটে ছিল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। ঠিক সে সময়েই কেরালা সরকারের মুখ পোড়ালো সোনা পাচার কান্ড । পিনারাই বিজয়ন সরকারের অস্বস্তি বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়ে এই কাণ্ডে নাম জরালো খোদ বিজয়ন সরকারের সচিবালয়ের। ইতিমধ্যে এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজনের সচিব স্বপ্না সুরেশের আর এবার তাঁর সঙ্গেই নাম জড়ালো পিনারাই বিজয়ন ঘনিষ্ট কেরালার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী কে টি জলিলের। ফলত সমস্যা বহুগুনে বেড়ে গেল পিনারাই বিজয়ন সরকারের। সোনা পাচার কাণ্ডে তদন্ড চলাকালীন অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের ফোনের কল লিস্ট দেখে ও তদন্তকালে তার দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে তার সঙ্গে কে টি জলিলের যোগাযোগের বিষয়টি গোয়েন্দা ও পুলিশের নজরে এসে পড়েছে। জানা গেছে, স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে তাঁর বিশেষ পরিচিতিকে ব্যবহার করেই আরব আমির শাহী দূতাবাসের কাছ থেকে তিনি রমজান উৎসব উপলক্ষে ১০০০ ব্যাগ কিট সংগ্রহ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি কেরালার মুখ্য সচিব বিশ্বাস মেহেতাকে সঙ্গে নিয়ে আরব দূতাবাস থেকে ৪৫০০ কেজি ওজনের ৩২ বাক্স কোরানও সংগ্রহ করেছিলেন। উদেশ্য নিজের নির্বাচনী এলাকা মল্লপুরমে এর বিতরণ । সূত্রে জানা গেছে, এই ১০০০ ব্যাগ কীটের জন্য খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা । তাঁর এই খরচের সমস্ত হিসেবে চেয়ে তাকে তলব করেছে কেরালার লোকায়ুক্ত। তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই কেরালা রাজ্যের মুখ্যসচিব বিশ্বাস মেহেতাকেও ২৭ আগস্টের মধ্যে জবাবদিহি করার কথা বলা হয়েছে। কেরালার রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে এই সোনা পাচার কান্ড। একেই তো সোনা পাচার কাণ্ডে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সচিবালয়ের নাম প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পরে । তার উপরে শিব শংকর, জলিল, মেহতার নাম জড়িয়ে পড়ে সমস্যা যথেষ বেড়েছে সরকারের। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বিজয়ন এর পদত্যাগ দাবি করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ সে আগস্ট একদিনের জন্য কেরালার বিধানসভার অধিবেশন গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অর্থবিল পাস করানোর জরুরি বলে। কিন্তু এই অধিবেশনে কেরালার বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জারি করেছে বিরোধীদল ইউডিএফ। ইউডিএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ” স্মাগলিং কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের নাম জড়িয়ে পড়ায় নৈতিকতার খাতিরে বিজয়ন পদত্যাগ করুন। নতুবা বিধানসভায় অনাস্থার মুখোমুখি হন। ” এই ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার । অন্যদিকে, এই সোনা পাচার কাণ্ডে লোকায়ুক্তের কাছে অভিযোগ জানালেন কেরালার যুব কংগ্রেস নেতা এম এ রোহিত। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করার ব্যাপারে দেশে যে আইন রয়েছে তা ভেঙেছেন জলিল।” তবে, তার দিকে উত্থাপিত এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জলিল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আরবের কাছ থেকে কিট বা কোরান গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি দেশের কোন আইন ভঙ্গ করেন নি। লোকায়ুক্তকে এর যথাযথ জবাব দেবার জন্য পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছেন। তবে বিরোধীদের সম্পর্কে তার অভিযোগ, ” এসব নিয়ে বিরোধীরা সস্তা রাজনীতি করছে।” আপনার মতামত জানান -