গণেশ চতুর্থীতেই কি বেজে গেল দুর্গাপুজোর বিসর্জনের বাজনা? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিঁদুরে মেঘ! অন্যান্য পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য August 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন মহালয়া মানে ছিলো মায়ের আগমন বার্তা। বাংলার আকাশ বাতাস যেন অন্যরকম হয়ে যেত। মা আসছেন! তবে কয়েকবছর হল, সেই হিসেবটা একটু পাল্টেছে। ইদানিং গণেশ পুজো দিয়েই বাঙালির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। গণেশ চতুর্থী মানেই আর বেশি দিন নেই। ব্যবসায়ীরাও এই সময় নিজেদের আসন্ন পুজোর বাজার কল্পনা করে সিদ্ধিদাতার কাছ থেকে চেয়ে নেয় আশীর্বাদ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবার সব এলোমেলো। এই রাজ্যের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, গত দুদিন লকডাউনের জেরে পুজোর ঘটা তো দূরে থাক, পুজো আদৌ হবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তা ছিলো। এর মধ্যে নিম্নচাপ! বাঙালির পুরো মজা টাই মাটি হয়ে গেলো। তবে সেই মন খারাপের ঝুলিতে বোধহয় আরও একটা মন খারাপ জমা পড়তে পারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করোনা আবহে গণেশপুজো বন্ধের দাবিতে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সে বিষয়ে বলতে গিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণেশ পুজোর কথা ভাবা যায় না বলেই জানিয়েছেন বিচারকর্তা। প্রধানত এই পুজোগুলোয় উপচে পড়া ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জৈন ধর্মের বিশেষ পুজো হিসেবে বাইকুল্লা, দাদার ও চেম্বুরে দুদিন জৈন মন্দির খুলে রাখার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এপ্রসঙ্গে দুর্গাপুজোর কথা উঠলে বিশেষজ্ঞদের মতে শীর্ষ আদালত যেভাবে রথযাত্রা ও গণেশপুজো নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছেন, তাতে দুর্গাপুজো নিয়েও শীর্ষ আদালত একই মনোভাব পেশ করলে তার অর্থ দুর্গাপুজো হবে না বলেই মনে করছেন। তবে এক্ষেত্রে এক আইনজীবী মন্দির খোলার বিরোধিতা করায় বলা হয় যে, মানুষ নিজেরা যদি সাবধানতা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলা যেতেই পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় মানুষের মধ্যে সেই সাবধানতা লক্ষ্য করা যায় না। তাই আপাতত বাংলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কি হতে চলেছে সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। আপনার মতামত জানান -