এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > গণপিটুনিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে এবার পুলিশের উপর তীব্র চাপ বাড়াতে শুরু করল গেরুয়া শিবির!

গণপিটুনিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে এবার পুলিশের উপর তীব্র চাপ বাড়াতে শুরু করল গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ২ ব্লকের পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাথরঘাটা গ্রামে গত ৫ ই সেপ্টেম্বর ১০০ দিনের কাজ চলার সময়ে বিজেপি কর্মী ও মৃৎশিল্পী রবিন পালের সঙ্গে বেশকিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীর গন্ডগোল বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ এই সময়ে রবিন পাল এক তৃণমূল নেতাকে হাঁসুয়ার কোপ মারেন। এরপর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় রবিন পালের।

এ ঘটনার পর মৃত বিজেপি কর্মী রবিন পালের ভাই দানু পাল পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার বাগ সহ ১৪ জন তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার পর পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার বাগ এর বিরুদ্ধে তাঁদের কর্মী হত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্দোলনের নামে বিজেপি। এই আবহে পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবারে গতকাল মঙ্গলবার এই ইস্যুতে কালনা থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশকিছু বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্ব।

বিজেপির কালনা থানা ঘেরাও কর্মসূচি রুদ্ধ করতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর হয়। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এনে কালনা থানা থেকে কিছুটা দূরে পাঁচটি ধাপে ব্যারিকেড করে পুলিশ। যার মধ্যে প্রথম তিনটি ব্যারিকেড ছিল কালনা পুরনো বাস্ট্যান্ড এলাকায়। যেখানে প্রথম ব্যারিকেডে ছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার, দ্বিতীয় ব্যারিকেডে পুলিশ সুপার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা, এবং তৃতীয় ব্যারিকেড ছিল র‌্যাফ।

গতকাল দুপুর ১২.৩০ এর সময়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি(কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ, অন্যতম রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিক, জেলা সহ সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার সহ বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থক তেতুলতলা থেকে মিছিল শুরু করেন । প্রথম ব্যারিকেড পার করতে পারলেও দ্বিতীয়টি পার করতে অসমর্থ হন তাঁরা। এরপর এখান থেকেই বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি জেলা সভাপতির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল থানায় স্মারকলি পাঠায়। যেখানে তিন দফা দাবির কথা জানানো হয়েছিল। সেখানে পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ ৬ জন অভিযুক্তকে কেন এখনো পুলিশ গ্রেফতার করেনি, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল কালনা থানার সামনে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক রাজিব ভৌমিক বক্তব্য রাখেন, ” চার দিনের মধ্যে উপপ্রধান-সহ বাকি ছ’জনকে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। এর পরেই রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এর মন্তব্য, ‘‘ রাজিব ভৌমিকের এই বক্তব্যের পর রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ” রাজীবদা চার দিন সময় দিয়েছেন। আমি হলে দু’দিন সময় দিতাম। তার মধ্যে গ্রেফতার না হলে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তাম।’’

অন্যদিকে, কালনা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিন পালের এই হত্যার ব্যাপারে তারা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজন কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান করছে পুলিশ।

তবে সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির এই জনসমাবেশ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির এই সমাবেশে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মান্য করা হয়নি। তার উপরে এই বিক্ষোভে উপস্থিত অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিল না। এই জমায়েত প্রসঙ্গে জনৈক পুলিশ কর্তার বক্তব্য, ” বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সমাবেশ উচিত নয়। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে পুলিশকর্মীদেরও করোনা-আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।’’ তবে এই জমায়েত সম্পর্কে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ” মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।’’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!