এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতের রায়ের আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর শোনালো আদালত

পঞ্চায়েতের রায়ের আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর শোনালো আদালত

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কাটাতে আজ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিকেল ৪:৩০ টের সময় তাঁর রায় দেবেন। আর সেদিকেই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী-নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণ। কিন্তু তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তির খবর পেলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল কলকাতা হাইকোর্টে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহৃত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রিয়বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি রিট-পিটিশন করেন। প্রধান বিচারপতির এজলাসে আজ সেই মামলার শুনানি ছিল, এই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠানো হলেও তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে প্রধান বিচারপতি একতরফা শুনানির সিদ্ধান্ত নেন। কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায়, প্রথাগত কোনো আইনি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও দেবাশিসবাবু অনন্যোপায় হয়ে নিজেই এই মামলার সওয়াল করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সওয়ালের ভূয়সী প্রশংসা করে আদালত।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

দেবাশিসবাবু নিজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেকোন লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রিয়বাহিনীর তত্বাবধানে করা হয়।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অথচ পুরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা বা ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহৃত সরকারি কর্মীদের উপর রাজনৈতিক কর্মীদের মানসিক, শারীরিক বা উভয় রকমের হেনস্থার ঘটনা বেশি করে ঘটলেও তা পরিচালিত হয় রাজ্য পুলিশের তত্বাবধানে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ভোটকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার মত প্রশিক্ষণ রাজ্য পুলিশের নেই। ইতিমধ্যেই, মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন পূর্ব-বর্ধমানে ফার্স্ট পোলিং অফিসার দেবাশীষ মুখার্জির উপর বিরোধী প্রার্থী ভেবে রাজনৈতিক কর্মীদের আক্রমন নেমে এসেছে। এমনকি ডিএম অফিসের বাইরে ভোটকর্মীরা লম্বা লাইন দিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন ভোটের দায়িত্ত্ব পাওয়া সরকারি কর্মীদের পরিবার-পরিজনেরা। এই অবস্থায় অনুগ্রহ করে, সরকারি কর্মীদের প্রাণ রক্ষার্থে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্ত্ব কেন্দ্রিয়বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।

দেবাশিসবাবুর সওয়াল শুনে, প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার কোনো বক্তব্যই আমি খন্ডন করছি না। আপনার আশঙ্কার জায়গার সঙ্গে আমি সহমত। কিন্তু আজ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিকেলে রায় দেবেন। আগে দেখা যাক সেই রায়ে কি হয়, সেই অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি বিচারপতি তালুকদারের রায়ে নির্বাচনী নির্ঘন্ট অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে নির্বাচনের আগেই আগামী সপ্তাহে আমি এই মামলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। সরকারি কর্মীদের যে আশঙ্কার কথা আপনি তুলে ধরলেন, তার সঙ্গে আমি সহমত, সুতরাং সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আদালত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। প্রধান বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, দেবাশিসবাবু নিজে জানিয়েছেন, তিনি আদালতের বক্তব্যে আশাবাদী, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি কর্মীদের রাজনৈতিক হিংসার হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের দাবি মেনে আদালত যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!