এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গোড়াতেই গলদ! উত্তরবঙ্গে গিয়ে চরম বিপাকে অভিষেক!

গোড়াতেই গলদ! উত্তরবঙ্গে গিয়ে চরম বিপাকে অভিষেক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গ্রামেগঞ্জে দেখা যায়, ওঝারা সরষে দিয়ে ভূত তাড়ায়। কিন্তু অনেকে আবার বলেন, যদি সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকে, তাহলে সেই ভূত তাড়ানো সত্যিই সমস্যা। তৃণমূলের অবস্থা অন্তত তাই হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোকাবিলা এবং দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার বার্তা দিলেও, যেভাবে তার সামনেই দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির। তার সামনেই যদি এইভাবে জেলার নেতারা একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে এমনি সময় জেলায় কি চলতে পারে, সেই আশঙ্কা এখন ক্রমশ ঘুম কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের।

বস্তুত, সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বর্তমান জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় একাধিক জেলা নেতাকে। স্বাভাবিকভাবেই সর্বভারতীয় শীর্ষনেতার সামনে এইভাবে জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জানা গেছে, এদিন জলপাইগুড়িকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করার সময় হঠাৎ করেই সেখানে সরব হন মোহন বসু। তিনি বলেন, “আমি বর্তমান জেলা সভাপতির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পারব না।” বস্তুত, মোহন বসুর সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর দ্বন্দ্বের কথা কারও অজানা নয়‌। তবে এদিন প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যেভাবে জেলা সভাপতির সঙ্গে কাজ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন মোহনবাবু, তাতে সমস্যা আরও বাড়ল বলেই দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু মোহন বসু নন, ময়নাগুড়ি তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীও এই বৈঠকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে যদি এই ক্ষোভকে সামাল দেওয়া না যায়, তাহলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার উত্তরবঙ্গের তৃণমূলকে ডোবাবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার জন্য সকল স্তরের নেতাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনার মাঝেই যেভাবে এক নেতা অপর নেতার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করলেন, তাতে রাজ্য নেতৃত্ব জেলা ছাড়ার পরই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে, তা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।

কেননা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত বা কড়া বার্তা দিয়ে সকলকে একসাথে চলার কথা বলবেন। কিন্তু তিনি জেলা ছাড়া সাথে সাথেই আবার বাড়তে শুরু করবে দ্বন্দ্ব। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে যদি এই দ্বন্দ্ব সম্পূর্ণরূপে বিনাশ না করা যায়, তাহলে বিজেপি আবারও ফাঁকতালে দাও মারতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের একাংশের। স্বাভাবিক ভাবেই দলীয় স্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা করলেও, যেভাবে প্রকাশ্যে সেই বৈঠকে বিবাদ সামনে এল, তাতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!