এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বড়সড় মন্তব্য মমতার, জেনে নিন কি বললেন তিনি

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বড়সড় মন্তব্য মমতার, জেনে নিন কি বললেন তিনি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত পঞ্চমীর দিনে কলকাতার রাজপথে হঠাৎ দেখা গিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরিকে। যারা তিন বছরের বেশি সময় ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। এরপর প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানান বিমল গুরুং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা জোট বদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু, বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা তাঁদের পুরনো দাবি , অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে কিন্তু মোটেও সরে আসেননি। এবার বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে শাসক দল তৃণমূল জোট করায় অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন যে, তবে কি গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এবার, এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ জলপাইগুড়ি শহরে এবিপিসির ময়দানের জনসভা থেকে গোর্খাল্যান্ড বিষয়ে নিজের অবস্থান একদম পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আক্রমণ শানালেন তিনি বিজেপিকে। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, তিনি গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেন নি। তাই পাহাড়ে তিনি জিততে পারেননি। এরপরই তিনি জানিয়েছেন যে, পাহাড়ের সমস্যা যদি কেউ সমাধান করতে পারেন, তবে সেটা একমাত্র তাঁরাই পারবেন। অন্য কেউ তা পারবে না। এর মাধ্যমেই তিনি পরোক্ষ ভাবে হুঁশিয়ারি দিলেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিকে। পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন বিধানসভা ভোটে তাঁরা তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু গোর্খাল্যান্ড তথা রাজ্য ভাগের মতো বিষয়কে কখনোই মেনে নেবে না মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠেছে একাধিকবার। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা যখন বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে ছিল, সে সময় এই দাবি তীব্র হয় কিন্তু জিটিএ চুক্তি ও পৃথক রাজ্যের দাবি কখনোই অনুকূল হবেনা দার্জিলিং, ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গের কাছে। এ কারনে তাদের গোর্খাল্যান্ডের দাবির মান্যতা দেয়া হয়নি। গোর্খাল্যান্ড করে রাজ্য ভাঙার দাবিকে কেন্দ্র ও রাজ্য কোন সরকারই মেনে নেয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার একাধিকবার বিমল গুরুংয়ের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি বাংলা ভাগের পক্ষে আছে। এ কারণে বিজেপি ক্ষমতায় এলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তার ফলেই ২০১৪, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পাহাড় থেকে তৃণমূল জিততে পারেনি, জয়লাভ করেছে বিজেপি।

আজ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের এবিপিসি ময়দানের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ” ৬ বছর ধরে ওরা গুরুংদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে গোর্খাল্যান্ড করে দেবে বলে। তাই ২০১৪এ একবার পাহাড়ে জিতেছে, কিন্তু প্রতিশ্রতি রাখেনি। আবার ২০১৯এ বিজেপি জিতেছে। আমরা কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিইনি, তাই আমরা জিতিওনি। ”

এরপর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, পাহাড়ের সমস্যা যদি কেউ সমাধান করতে পারে, তবে তা একমাত্র তৃণমূল। বিজেপি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। বিজেপিকে দিয়ে এ কাজ হবেনা বলেই তাঁর দাবি। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে সমর্থন জানালেও, গোর্খাল্যান্ডের দাবি কখনোই মেনে নেবে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!