গোর্খাল্যান্ডের সমর্থনে খোদ অমিত শাহকে এই মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল! জাতীয় বিজেপি রাজনীতি September 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে চর্চা চলছে গেরুয়া শিবিরে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গে গোর্খাল্যান্ডকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন জেতে গেরুয়া শিবির বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসতে চলেছে এই রাজ্যে। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন গোর্খাল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার। কিন্তু এবার ভিন রাজ্য থেকেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি গেল গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করে। সম্প্রতি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সামাং গোর্খাদের অবদান উল্লেখ করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি করেন। প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের শাসকদল ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি বিজেপির অন্যতম সঙ্গী। আর সেই দলেরই প্রধান হলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সামাং। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কনরাড সামাং জানিয়েছেন, ভারতবর্ষকে রক্ষা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে চলেছেন গোর্খারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদের মতন গোর্খারাও এ দেশের নাগরিক। আর তাই তাঁদের নিজস্ব পরিচয় এবং নিজস্ব রাজ্য পাওয়ার অধিকার আছে। এই চিঠিতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী আজাদ হিন্দ ফৌজের গোর্খা সৈনিক মেজর দুর্গা মল্লর নাম উল্লেখ করেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও দিগম্বর সিং গুরুং, বাহাদুর সিং গুরুং ও রাম সিং ঠাকুরির মতন গোর্খা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা উল্লেখ করে কনরাড সামাং গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শরিক দলের এহেন চিঠিতে বিজেপি পড়েছে আতান্তরে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পশ্চিমবঙ্গে আসছে সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই এই সময় পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে গোর্খাল্যান্ডের কথা বললে তার খেসারত গেরুয়া শিবিরকে দিতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড়কেও কাছে পেতে বারংবার বিজেপি নেতারা গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। গোর্খাল্যান্ড সমস্যা যে এত সহজে মেটার নয় সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল গেরুয়া শিবিরের নেতারাও। অন্যদিকে গোর্খাল্যান্ড যদি ভাগ হয়, তাহলে ভারতে এমন বেশকিছু জনজাতি আছে যারা নিজেদের রাজ্যের দাবি করবে, সে ক্ষেত্রে ভারত ভাগ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সব দিক বিচার করে এখন কেন্দ্রীয় সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -