গরমের ছুটি আর কতদিন? শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন! রাজ্য June 16, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি কিছুটা আয়তে আসার সাথে সাথেই পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার। যেখানে বেশকিছু স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তার মাঝেই আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে গোটা দেশে। স্বাভাবিক ভাবেই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যালয়। এমনকি করোনা ভাইরাসের জন্য জীবনের সবথেকে বড় দুই পরীক্ষা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের একাধিক রাজ্যে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তবে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গরমের ছুটির কথা তুলে ধরে বিদ্যালয় বন্ধ করার কথা জানিয়ে দিয়েছিল সরকার। তবে এর পেছনে যে করোনা ভাইরাস প্রধান কারণ, তা কার্যত স্পষ্ট। কেননা গরমের ছুটি কিছুদিন বহাল থাকলেও, এখনও পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলার কোনো নাম-গন্ধ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক, সকলের মনেই এখন সরকারের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। গরমের ছুটির কথা বলে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলে বুধবার জামাইষষ্ঠীর দিন মিড-ডে-মিল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জামাইষষ্ঠীর কারণে বুধবার সমস্ত সরকারি দপ্তরে ছুটি থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মিড-ডে-মিল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক-অভিভাবিকাদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে, এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স-হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, “গরমের ছুটি চলার কারণে মিড-ডে-মিল সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু রাখতে অসুবিধা হচ্ছে। এই সময় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে জোর করা যায় না। অনলাইন ক্লাসের গতিও সেভাবে বাড়ছে না গরমের ছুটির কারণে।” একইভাবে এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা বলা হলেও, কতদিন পর্যন্ত চলবে, এই বিষয় শিক্ষা দপ্তরের একটা নির্দেশিকা প্রয়োজন ছিল।” পাশাপাশি একদিকে গরমের ছুটি, তার মধ্যে বুধবার মিড-ডে-মিল দেওয়ার কথা থাকলেও, সরকারের পক্ষ থেকে জামাইষষ্ঠীর কারণে পূর্ণদিবস ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কিভাবে এই মিড-ডে-মিল দেবে বিদ্যালয়গুলো! এখন সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বা এই ব্যাপারে সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা বলেন, “বুধবার মিড-ডে-মিলের সামগ্রী দেওয়ার কথা। তবে তা দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত বিদ্যালয় নেবে। বিদ্যালয়ের যদি মনে হয় বুধবার দেওয়া সম্ভব নয়, তাহলে পরের দিন দিতে পারে।” তবে মিড-ডে-মিল দেওয়ার দিন অদল বদল করা গেলেও শুধুমাত্র গরমের ছুটি দিয়ে কতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন শিক্ষকদের মধ্যে। একাংশের মতে, করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমাজ বাড়িতে বসে থাকার কারণে তাদের সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে জনমানসে। অনেকেই শিক্ষক সমাজকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তাই বিদ্যালয়ের দরজা খুলে দিয়ে করোনা বিধি মেনে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করা উচিত। এর ফলে একদিকে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য যেমন সুরক্ষিত থাকবে, ঠিক তেমনই শিক্ষক সমাজ সম্পর্কে সমাজে ভুল বার্তা যাবে না। একাংশ আবার বলছেন, যদি করোনা ভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হবে, তাহলে কেন গরমের ছুটি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? তাই দ্রুত এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ধারনার আশা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আপনার মতামত জানান -