এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক প্রভাবশালী! ক্রমশ কি হাত যাচ্ছে ‘মূল মাথার’ দিকে?

গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক প্রভাবশালী! ক্রমশ কি হাত যাচ্ছে ‘মূল মাথার’ দিকে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার গরু পাচার চক্র নিয়ে চলছিল তদন্ত। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর গরু পাচার চক্র নিয়ে তদন্তে গতি আসে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে খবর আসে, গরু পাচার চক্রের মূলধন অনেক সময় জঙ্গিগোষ্ঠীতে নিয়োগ হয়ে থাকে। আর সে কারণেই এবার তদন্তকারীরা গরু পাচার চক্রের হদিশ পেতে উঠেপড়ে লাগে। আর সেই সূত্রেই প্রথমে গোয়েন্দা দপ্তরের নাগালে আসে গরু পাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা এনামুল। এনামুল গ্রেপ্তার হওয়ার পরে সন্দেহ করা হয় গরু পাচার চক্রের পেছনে আরও বড় মাথা রয়েছে। আর সেই সূত্রেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি।

আর তারপরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেপ্তার করল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই ম্যারাথন জেরা করে বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেরা করার পর সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছিলেন তল্লাশি চালাতে। তারপর সপ্তাহ দুয়েক আগে এই বিএসএফ কর্তার বাড়ি এবং মানিকতলার এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের গ্রেপ্তারের সূত্রে কিন্তু আরো ধরপাকড়ের সম্ভাবনা তৈরি হলো।

এর আগেও গরু পাচার চক্র জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুলকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। যদিও এনামুল নিজেকে করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করে অন্তর্বর্তী জামিন পায়। সেপ্টেম্বরে সল্টলেকের পাশাপাশি মালদা ও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গাতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেসময় জানা যায়, এনামুলের সঙ্গে বিএসএফ ও কাস্টমসের একশ্রেণীর কর্তাদের যোগাযোগ রয়েছে। আর সেকারণেই গরু পাচার চক্রের এত রমরমা বলে জানা যায়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুগুলি আটক করার পর সেগুলির সাইজ ছোট করে দেখানো হতো। গরু পাচার চক্রের পেছনে অনেকেই দাবি করছেন রাজনৈতিক চক্র জড়িত আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ তা না হলে এই কারবার চালানো সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের কয়লা পাচারের তদন্ত আয়কর দপ্তরের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। অন্যদিকে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তকারী অফিসারদের ইতিমধ্যেই দিল্লীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দাবি কয়লা পাচার চক্রের মাথা অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে গরু পাচার চক্রের মূল পান্ডা এনামুলের ভালো রকম যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার হয়তো রাজ্যের গরু পাচার এবং কয়লা পাচারের তদন্ত একযোগে চালাতে শুরু করতে চলেছে সিবিআই। বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই দাবি করেন, গরু পাচার চক্রের পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে।

আর এবার সিবিআই যেভাবে একের পর এক গ্রেপ্তারি শুরু করেছে গরু পাচার চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে কোনদিন এবার গরু পাচার চক্রের পেছনে থাকা প্রভাবশালীদের নাম বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা, যা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বস্তুত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর সন্দেহ, গরু পাচার চক্রের মাধ্যমে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের বেনামী রোজগার হয় কোটি কোটি টাকা। আর তাই এবার দুর্নীতির অভিযোগে এরাজ্যে গরু পাচার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!