এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > গরুপাচারে যুক্ত তৃণমূল নেতা, পুলিশ থেকে bsf? বিস্ফোরক অধীর-বোমায় টালমাটাল রাজ্য-রাজনীতি!

গরুপাচারে যুক্ত তৃণমূল নেতা, পুলিশ থেকে bsf? বিস্ফোরক অধীর-বোমায় টালমাটাল রাজ্য-রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মাঝেমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃনমূল সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে ঘাসফুল শিবিরের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় তাকে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শিক্ষা, অর্থনীতি থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন বিভিন্ন বিষয়ে আক্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। আর এবার নতুন এক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, গরুপাচার ইস্যুতে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যেখানে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবার গরুপাচারের ব্যাপারে নিজেদের তদন্ত শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত বুধবার দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি, ছত্তিশগড়, গাজিয়াবাদ সহ আরও 15 টি জায়গায় হানা দেয় তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের দাবি, উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর, মালদহ, নদীয়া এবং উত্তর 24 পরগনার মত জেলাগুলোতে বছরে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়। আর এই সমস্ত ঘটনার পেছনে স্থানীয় বেশ কিছু নেতা, কাস্টমস এবং বিএসএফের একাংশের হাত যে রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এবার সেই সমস্ত ঘটনা নিয়েই রাজ্যের সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, একসময় মুর্শিদাবাদের সুতির বিধায়ক এই নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। আর মালদহে সেই সময় পোস্টিং থাকা বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার পাচারকারীদের বন্ধু হিসেবে মদত দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। যার পরবর্তী সময়কালে পাচারকারীদের প্রধান মাথা এনারুল হক এবং তার সঙ্গী আনারুল শেখ, মহম্মদ গোলাম মোস্তাফাকে খুজতে সিবিআইয়ের 110 জন অফিসার এখন তৎপর হয়েছেন।

জানা গেছে, বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের সল্টলেকের একটি ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা। তবে তার বাড়িতে একজন কেয়ারটেকার থাকায় তাকে জেরা করা হয়। আর তারপরেই সেই ফ্ল্যাট থেকে কাগজপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদে লালগোলা এবং রঘুনাথগঞ্জে দুটি ভাগে বিভক্ত করে হয়ে প্রবেশ করে সিবিআই। আর তারপরেই আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, সতীশ কুমার পশ্চিমবঙ্গে এখনও গরু পাচারের প্রধান বড় ভরসা। এর জন্য তিনি নিয়মিত কিছু টাকা পান।

এদিন এই গরুপাচার নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “বাংলার গরু পাচার রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদলের মদত ছাড়া হতে পারে না। বিএসএফ লুঠ করেছে বর্ডারে, গরু এসেছে ট্রাক ভর্তি হয়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক দিয়ে। মানি ব্যাগে ভরে তো গরু পাচার হয়নি। বরং গরু পাচারের টাকা তৃণমূলের নেতার নির্বাচনী তহবিল আর পুলিশের মানি ব্যাগ ভরিয়েছে। তৃনমূল নেতারা কত করে মাসোহারা পেত, সেই রেট পুলিশ যেমন জানে তেমন পাবলিকও জানে। মুর্শিদাবাদে এটা ওপেন টু অল, যারা ক্ষমতায় থাকে পাচারকারীদের কাছে তাদের কদর। কলকাতা পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে দিদির দলের ভবিষ্যৎ, তাদের জন্য টাকার পাহাড় তৈরিতে গরুপাচার বিরাট ভূমিকা পালন করেছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যেভাবে গরুপাচার নিয়ে যেভাবে সরব হলেন, তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এখন এই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!