এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পিকে অভিষেক, কেন ব্রাত্য শুভেন্দু? জল্পনা চরমে

গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পিকে অভিষেক, কেন ব্রাত্য শুভেন্দু? জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে এখন সবথেকে বড় চিন্তার কারণ, বিভিন্ন জায়গায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রশান্ত কিশোর লোকসভা নির্বাচনের পর দলের দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার কথা বললেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে আগামীদিন নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই হুগলি থেকে শুরু করে হাওড়া বিভিন্ন জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। বস্তুত, হাওড়া জেলায় তৃণমূলের তিন গোষ্ঠীর বিবাদ কার্যত চোখে পড়ার মত।

একদিকে চেয়ারম্যান অরূপ রায়, অন্যদিকে জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং অপরদিকে জেলার কো-অর্ডিনেটর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তিন নেতা নিজের মত করে পথ চলতে শুরু করেছেন। যার ফলে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এই হাওড়া জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে তড়িঘড়ি এই তিন নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। তবে হাওড়া জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠক করলেও, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনো ভাবনা চিন্তা নেই কেন! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

 

বস্তুত, বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলা সফর করছেন কিন্তু সেখানে দল বা সরকারের কোনো পদাধিকারীর পরিচয় দিচ্ছেন না তিনি। উল্টে তার অনুগামীরা “দাদার অনুগামী” লিখে বিভিন্ন সভার আয়োজন করছে। যার ফলে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে যে, শুভেন্দু অধিকারী দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত নিজের দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই পদক্ষেপ নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন শাসকদলের পক্ষ থেকে কোনোরকম মান ভাঙানোর উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সময়ে যখন বিপদে পড়েছেন, তখন মুশকিল-আসান হিসেবে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে মালদায় ঘাসফুল ফোটানোর কারিগর তিনি। সেদিক থেকে দলে যখন দিনকে দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হয়ে যাচ্ছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারী কেন বিন্দুমাত্র গুরুত্ব পাচ্ছেন না, তা নিয়ে তার অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছিলেন বলে খবর। আর এমত পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের মত করে সভা-সমিতিতে যোগ দিলে এবং সেখানে দলের পরিচয় পরিচিত না হলেও, এই হেভিওয়েট নেতার মান ভাঙানোর উদ্যোগ কেন নিচ্ছে না দল, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি তৃণমূলের জনপ্রিয় এবং সাংগঠনিক মুখ বলে যদি কেউ বেশি খ্যাত হয়ে থাকেন, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও, কেন গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আলোচনায় বসা হচ্ছে না, তা নিয়ে কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রশ্ন জোরালো হতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা তৈরি হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে পথ চলছেন, তাতে তিনি দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারেন। আর যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে শাসকদলে ব্যাপক ফাটল ধরবে। কেননা প্রায় প্রতিটি জেলাতেই শুভেন্দু অধিকারীর অনেক জনপ্রতিনিধি এবং অনুগামী রয়েছে। তারা সকলেই তখন শুভেন্দু অধিকারীর পথে হাঁটতে শুরু করবেন। যার ফলে এহেন শীর্ষ নেতার দখলে থাকা ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের বিপক্ষে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই এমত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে তাকে দলের সক্রিয় করা উচিত বলেই দাবি করছেন একাংশ। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, এই সমস্যার জীবনে কোনো সমাধান হবে না। কারণ কোনো সমস্যাই ছিল না। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে যে কথাই বলুন না কেন, বাস্তবে শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে হাওড়া জেলার তিন নেতার মধ্যে সমস্যা মেটাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর বৈঠকে বসলেও, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বৈঠকে বসা হচ্ছে না, তা নিয়ে কিন্তু দলের অন্দরে প্রশ্নচিহ্ন অব্যাহত। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!