এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গোষ্ঠী কোন্দল না রাজনৈতিক সংঘর্ষ? কুপার্স ক‍্যাম্পের আনাচেকানাচে একটাই প্রশ্ন

গোষ্ঠী কোন্দল না রাজনৈতিক সংঘর্ষ? কুপার্স ক‍্যাম্পের আনাচেকানাচে একটাই প্রশ্ন


গোষ্ঠী কোন্দল না রাজনৈতিক সংঘর্ষ? এই নিয়ে এখন উত্তাল রানাঘাটের কুপার্স কলোনি। রাজনৈতিক মঞ্চে এখন এই দুটি শব্দ অত‍্যন্ত সুপরিচিত। গোষ্ঠী কোন্দলই হোক আর রাজনৈতিক সংঘর্ষ, যেটাই ঘটুক না কেন, এর ফলে এলাকার যে শান্তি ভঙ্গ হয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, প্রাণহানির প্রশ্নও থাকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক পর্ব থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ঝামেলা, রাজনৈতিক শিবিরের নিত্য পরিচিত ঘটনা। সম্প্রতি রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় হওয়া জলসাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয়। এই ঘটনায় দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ জানিয়েছে।

রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় রবিবার একটি জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। জলসার মাঝেই কেউ বা কারা মাইকের সুইচ বন্ধ করে দেয়। আর তাতেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় মারামারি, দর্শকাসন থেকে সবাই ছত্রাকার ভঙ্গিতে দৌড়াতে শুরু করে। অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। শেষে পুলিশ এসে অবস্থা সামাল দেয়। যদিও রবিবার রাতের এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি থানায়। ফলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

কুপার্স শহরের বিজেপি সভাপতি দীপক দে দাবি জানিয়েছেন, “এলাকার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কুপার্স নোটিফায়েডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি এবং কাউন্সিলরের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দিলীপ দাস সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাই তার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।” বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপির একজনকে জনতা দেখতে পায়, আর তার ফলে জনতা উত্তেজিত হয়ে ঝামেলা শুরু করেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ আবার বলেছেন, কিছু মত্ত জনতার প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে কুপার্স ক্যাম্প এর জলসায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দাবি এককথায় নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল দল কুপার্স শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলর পিন্টু দত্ত। তিনি বলেন, “আমি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। রানাঘাট শহরে গিয়েছিলাম। পরে বাড়ি ফেরার সময় গোলমাল হচ্ছে শুনে ছুটে যাই। স্থানীয় কিছু ছেলে গোলমাল করছিল, তাদেরকে গিয়ে সরিয়ে দিই।” তিনি আরো বলেন, “পরে জানতে পেরেছি, মঞ্চে বিজেপির একজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে এলাকার কিছু ছেলে মেনে নিতে পারেননি। তাই গোলমাল হয়েছে। আমাদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় এটা নয়।”

এদিন কুপার্স নোটিফাইড এর ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস জানিয়েছেন, “আমার বাড়ির কাছে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এমন সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। 2012 সাল থেকে তৃণমূল করছি। অনেকেই সেই সময় কংগ্রেস করতেন। কারোও সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আক্রমণকারীরা অধিকাংশ বহিরাগত বলে জানতে পেরেছি।”

অন্যদিকে, কুপার্স ক্যাম্প চেয়ারম্যান শিবু বাইন জানিয়েছেন, “আমাদের দলে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। মদের নেশায় কিছু মত্ত ওই কান্ড ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।” এ প্রসঙ্গে রানাঘাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক শংকর সিংহ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগের পাল্টা জানিয়েছেন, “ওখানে কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্নই নেই।”

সূত্রের খবর, জলসা কান্ডের ঘটনায় কুপার্স ক‍্যাম্প এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। আপাতত জলসা কান্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের মুখ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাই হোক না কেন তাতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলির এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হওয়া উচিত। অন্যদিকে কুপার্স ক্যাম্পের ঘটনায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা এখনও ক্রমাগত চলছে। আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!