এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বাড়ছে মারপিট, ভোটের জন্য নেওয়া যাচ্ছে না ব্যবস্থা? আরও অস্বস্তিতে বিজেপি

গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বাড়ছে মারপিট, ভোটের জন্য নেওয়া যাচ্ছে না ব্যবস্থা? আরও অস্বস্তিতে বিজেপি


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে অস্বস্তি চরমে পৌঁছেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, এতদিন যেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সেখানে কিছুদিন আগে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়েও খবর প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তৃণমূল থেকে আসা বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছিল পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের।

তবে এবার সেই বিজেপির অন্দরেই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মারপিট হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার কার্যত কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, নবদ্বীপ ও তেহট্ট, বিধানসভা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জানা গেছে, ওই এলাকার নেতাকর্মীরা মণ্ডল সভাপতি বদলের প্রতিবাদ করতে কৃষ্ণনগরে সদর কার্যালয়ে যান।

আর সেই সময়েই দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই সভাপতি আশুতোষ পালের উপরে হামলা করা হয়। তাঁকে মারধর করা থেকে শুরু করে তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এর নিষ্পত্তি করতে গেলে নাকি উল্টো ফল হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে দলের তরফে। আর তার কারণ হিসবে বলা হয়েছে জেলার ৩৫টি মণ্ডলের মধ্যে যেহেতু এখনও আশু-বিরোধী গোষ্ঠীর সভাপতির সংখ্যাই বেশি।

তাই কোনও ব্যবস্থা নিতে গেলে সেই সব মণ্ডলেও বিদ্রোহ হতে পারে। ফলে কার্যত বিজেপি নেতৃত্ব দোলাচলে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নিগ্রহ এবং তার পর কৃষ্ণনগরের রাস্তায় দলের পতাকার ডান্ডাকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষের মারপিট চলে।

অন্যদিকে এরমধ্যেই কৃষ্ণনগর শহরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনার মধ্যে তাঁকে আর দলীয় কার্যালয়ে না নিয়ে গিয়ে সোজা আসাননগরে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানা গেছে। সেখানে মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে কিছুক্ষণ থেকে তিনি আসাননগর বাজারে জনসভায় যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরে সেই ছেঁড়া জামার উপরেই আশুবাবু ‘মোদি কোট’ চাপিয়ে সেখানে এসে হাজির হন বলে জানা যায়। যদিও তাতে তাঁর জামার ছেঁড়া অংশ পুরোপুরি ঢাকা পড়েনি বলেই দেখা গেছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা রাজ্য সভাপতির কানে চলে গিয়েছে বলেই জানা যায়। আর সেই কারণেই সম্ভবত মঞ্চে পাশেই বসা আশুবাবুর সঙ্গে তাঁকে কথা বলতেও দেখা যায়নি।

যা দেখে দলের নেতাকর্মীদের একাংশ মনে করছে যে দল যে আশুবাবুর নিয়ন্ত্রণে নেই, গোটা ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটাই দিলীপ ঘোষ কার্যত এদিন বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দলীয় কার্যালয়ে নদিয়া উত্তর সাংগনিক জেলার ‘কোর কমিটি’র সদস্যেরা বৈঠকে করেন।

জানা গেছে, সেখানে কড়া অবস্থান পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকম মতই আসে। এদিন আশুবাবু বলেন, “জেলা ও রাজ্য এক সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “সেটা সাংগঠনিক বিষয়। আপনাকে কেন বলতে যাব?”

তবে রাজ্য কমিটির সভানেত্রী তথা দলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা পর্যবেক্ষক মাফুজা খাতুন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতিকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। ফলে যা বলার তিনিই বলবেন বলেই জানান তিনি। সেইসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের একাংশের মতে, এখনই কড়া ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে দলের শৃঙ্খলরক্ষা করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

অন্যদিকে আর এক দলের আশঙ্কা, দলের তরফে এফআইআর বা কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই বিক্ষুব্ধ অংশ তৃণমূলে আশ্রয় নিতে পারে বলেও জানান হয়েছে। আর তাতে আরও বড় ক্ষতি হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনার পর শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানা গেছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!