এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গোষ্ঠী কোন্দল থেকে মহিলা সংসর্গে নাম জড়াতেই হেভিওয়েট সাংসদের ডানা ছাঁটা শুরু করল বিজেপি?

গোষ্ঠী কোন্দল থেকে মহিলা সংসর্গে নাম জড়াতেই হেভিওয়েট সাংসদের ডানা ছাঁটা শুরু করল বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে সমাজ মাধ্যমে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার স্ক্রীনশট ছড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে, ঠিক তখনই বিজেপির এহেন হেভিওয়েট সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

তাই এবার দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে জগন্নাথ সরকারের ডানা ছাটা শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগের নদিয়া দলের সংগঠন উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদ পেয়েছিলেন জগন্নাথবাবু। কিন্তু গত বছর সাংসদ হওয়ার পরে তাকে সেই পদ ছাড়তে হয়েছে। পরবর্তীতে দলের সংগঠনের সমস্ত দিক তিনিই দেখভাল করছিলেন। এখনও বেশ কিছু জায়গায় তার আধিপত্য রয়েছে বলে খবর। তবে এখন জেলাজুড়ে একটাই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জগন্নাথবাবুর নাম জড়িয়ে যাওয়ার ফলে তাকে কি এবার ধীরে ধীরে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু করবে দল?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর জগন্নাথবাবু সাংসদ হওয়ার পর তার বদলে মানবেন্দ্র রায়কে দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়। আর এর পরেই জগন্নাথবাবুর সঙ্গে মানবেন্দ্রবাবুর দ্বন্দ্ব তৈরি হয় বলে খবর। মাঝে অভিযোগ ওঠে, জগন্নাথবাবুর অনুগামী অনেকেই জেলা সভাপতিকে নিগৃহীত করেছেন। যার পর রাখাল সাহা সহ বেশকিছু জনকে বিজেপির পক্ষ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর এরপরই মানবেন্দ্রবাবুকে সরিয়ে জগন্নাথ সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অশোক চক্রবর্তীকে জেলা সভাপতি করে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এই জগন্নাথ সরকার লোকসভায় দলের প্রার্থী হতেন না‌। কিন্তু প্রথমে এখানকার প্রার্থী হিসেবে দলের প্রধান পছন্দ ছিল মুকুটমণি অধিকারী। তবে তৃণমূল সরকার চিকিৎসকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত জগন্নাথবাবুকে প্রার্থী করা হয়। আর তারপরেই জয়লাভ করেন তিনি। এদিকে সাংসদ হওয়ার পরেই যেভাবে তিনি দাপটের সঙ্গে এখানে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছিলেন, তা অনেকেরই পছন্দ ছিল না।

আর এবার সেই জগন্নাথ সরকারের নামে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনে থেকে শুরু করে মহিলাঘটিত নানা ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো চাপে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এবার নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, বিধানসভা নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সেই জগন্নাথ সরকার কিছুটা হলেও কোণঠাসা করতে পারে গেরুয়া শিবির।

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি জগন্নাথ সরকারের ডানা ছাটা হবে? দল‌ কি তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করবে? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির অশোক চক্রবর্তী বলেন, “এই বিষয়ে যা বলার দলের জেলা নেতৃত্ব বলবে।” এদিকে এই বিষয়ে সেই জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমি জনপ্রতিনিধি। সংগঠনের বিষয়ে দলের নেতৃত্বই শেষ কথা বলবেন।” তবে জগন্নাথবাবু বা অশোকবাবু যে যেই কথাই বলুন না কেন, জগন্নাথ সরকারের কারণে বিজেপি যে এখানে অনেকটাই চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। এখন সেই চাপকে সহ্য করে নিয়ে বিজেপি পথ চলে, নাকি সাংসদ হয়ে জগন্নাথ সরকার যেভাবে সংগঠনে মাথা গলাতে শুরু করেছিলেন, তাতে তাকে সতর্ক করে দেয় গেরুয়া শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!