এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যেই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে আটকে কর্মীদের বিক্ষোভে উঠলো “শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ” স্লোগান, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে!

রাজ্যেই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে আটকে কর্মীদের বিক্ষোভে উঠলো “শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ” স্লোগান, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের সময় থেকেই তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত। এবং বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সাংগঠনিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। সেই সূত্রে শুভেন্দু অধিকারী এই মুহূর্তে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের কাছে অনেকটাই পিছিয়ে যায়।

এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল সংগঠন আবার জোরদার করার। এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী কতটা কাজ করেছেন, তার প্রকাশ কিন্তু কর্মীদের স্লোগানের মাধ্যমে হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সম্প্রতি বুধবার রাজ্যের তিন মন্ত্রী যথা – অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব এবং মলয় ঘটক জলপাইগুড়ি জেলায় যান সেখানকার ব্লক জেলা স্তরের কমিটি তৈরি করার জন্য। আর এই নতুন কমিটি তৈরি করা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরেই বেধে গেলো গন্ডগোল বলে জানা যাচ্ছে।

এই ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। দলীয় সংগঠন তৈরি করতে কমিটি গঠনের শুরুতে যেভাবে তৃণমূল শিবিরে ভাঙ্গনের ছবি ধরা পরল, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের দল। অন্যদিকে সূত্রের খবর, কমিটিতে থাকা ব্যক্তিদের নাম সামনে আসা মাত্রই শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি হিসাবে যে মুহূর্তে মনোজ রায়েরনাম ঘোষণা হয়, তারপরেই ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা ডালিম রায়ের অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় তৃণমূল কর্মীরা তিন তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কোনক্রমে মন্ত্রী গৌতম দেব বেরিয়ে যেতে পারলেও অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটক আটকে পড়েন। এবং তাঁদের ঘিরেই নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। আর এই স্লোগানেই শোনা যায়, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে দল চলছে, চলবে”। আর এখানেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তারপরেই অবস্থান বিক্ষোভ ভেঙে দেয় পুলিশ।

পুলিশ এসে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে মুক্ত করে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বলে জানা যায়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গ জেলা জুড়ে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মুহূর্তে যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তা এই ঘটনায় প্রমাণিত। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিলেও যেভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল কর্মীরা নেতাদের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাতে কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই ঘটনায় জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপাতত দলীয় নেত্রী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কি সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!