এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি! এবার হেভিওয়েট নেতার অপসারণ চেয়ে কুশপুতুল পোড়ালেন কর্মীরা

গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি! এবার হেভিওয়েট নেতার অপসারণ চেয়ে কুশপুতুল পোড়ালেন কর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির আকাশে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কালো মেঘ বেশ কিছুদিন ধরেই প্রকাশ্যে আসছে। বাংলার তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত এবং বিজেপির সাংগঠনিক জোরের কথাও সেভাবেই প্রচারিত। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষও প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই বিজেপির সাংগঠনিক জোর শব্দটি প্রহসনে পরিণত হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

সম্প্রতি এরকমই একটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের টের পাওয়া গেল বারাসাত জেলা বিজেপি কর্মীদের অন্দরে। বারাসাতের জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা বিজেপি সদস্যদের একাংশ। এই ঘটনা সামনে আসায় এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বারাসাত জেলা বিজেপির অন্দরে দীর্ঘদিন ধরেই জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। কিন্তু রবিবার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে প্রবলভাবে।

এদিন সকালে বারাসাত জেলা বিজেপি বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে ঠাকুরবাড়ি থেকে বিক্ষোভ মিছিলের সূত্রপাত হয়। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড লেখা হয় শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে এবং সেগুলো মিছিলে ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে। রবিবার শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে মিছিল শুরু হয় ঠাকুরবাড়ি থেকে, তা শেষ হয় ঠাকুরনগর সবেদা তলার মোড়ে। এবং সেখানেই জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানো হয় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি শিবির জেলা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অন্যদিকে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় সমস্ত ঘটনা শুনে জানিয়েছেন, “এসব কারা করছে, কেন করছে আমার জানা নেই। সব মিথ্যা অভিযোগ। ওদের কোনও অভিযোগ থাকলে ওরা রাজ্য নেতাদের কাছে অভিযোগ করুক।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব জেলায় জেলায় দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে কিন্তু আগামী দিনে প্রবল বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। যদি এখন থেকে সংগঠনের অন্দরের কোন্দল সামাল না দেওয়া যায়, তাহলে একুশের আগেই বিজেপির ভিত নড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে বারাসাত এলাকায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ্যে এসেছে, তা থেকে রাজ্যের তৃণমূল গোষ্ঠী যে পূর্ণ সুযোগ নেবে সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!