এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > টেকনোলজি > গোটা বিশ্বে ১৭০ রকমের করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে চলছে গবেষণা! সফল হওয়ার সম্ভবনা মাত্র ১০-১২ টির?

গোটা বিশ্বে ১৭০ রকমের করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে চলছে গবেষণা! সফল হওয়ার সম্ভবনা মাত্র ১০-১২ টির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাবার আশায় প্রহর গুনছেন সারা বিশ্ববাসী। গোটা বিশ্বে সম্প্রতি ১৭০ টি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। তবে এতগুলো ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চললেও সফল হবার সম্ভাবনা মাত্র কয়েকটির ক্ষেত্রেই রয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি, ট্রায়াল চলাকালীন অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই কতগুলি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত সফল হতে পারবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে মাত্র ৭% ভ্যাকসিন পরবর্তী ধাপে পৌঁছে থাকে। ৯৩ % ভ্যাকসিনই ব্যর্থ হয়। সফল হয়ে যেসব ভ্যাকসিন পরবর্তী ধাপে পৌঁছায়, তাদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ পরবর্তী ধাপে যেতে পারে। সামান্য ভুলের কারণে অনেক ভ্যাকসিন ব্যর্থ হয়ে যায়। এ কারণেই গবেষকরা জানাচ্ছেন, সারাবিশ্বে ১৭০ টির মত করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চললেও, প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বার করতে পেরেছে মাত্র ২০ শতাংশ ভ্যাকসিন। চূড়ান্ত সফলতা পাবে আরো কম ভ্যাকসিন। গবেষকেরা জানিয়েছেন করোনা সংক্রমণের কারণে খুব দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়েই অধিকাংশ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ব্যর্থ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জনৈক গবেষক জানিয়েছেন, ” যত জরুরি পরিস্থিতিই হোক না কেন, পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম সময় লাগেই।’’

অন্যদিকে গবেষকেরা জানিয়েছেন প্রতিবছর ভ্যাকসিন দিয়ে মাত্র কুড়ি ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু রোধ করা যায়। ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মিজ়লস সহ আরো ২০ টি রোগের ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না তুলতে পারলে করোনার সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। কারণ তাঁরা জানিয়েছেন যে, অন্যান্য সংক্রমক ভাইরাসের চেয়ে সার্স কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা যথেষ্ট বেশি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ‘কোঅর্ডিনেটেড গ্লোবাল রিসার্চ রোডম্যাপ’ নাম করোনা ভ্যাকসিন এর একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল ইতিমধ্যেই । এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্তর্গত ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজ়িস্ট্যান্স অ্যান্ড র‌্যাপিড রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনস সেল ফর কোভিড ১৯’ এর জনৈক প্রাক্তন টেকনিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, ” ভ্যাকসিন না এলে প্রতি বাড়িতে এক জন করে কোভিড রোগী থাকার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণকে ঠেকানো মুশকিল।’’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন তৈরি জন্য আগামী ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কে আনুমানিক ভাবে ধরে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জনৈক গবেষক জানিয়েছেন, ” ধরে নেওয়া যেতে পারে যে শুধু সংক্রমণজনিত পরীক্ষা এবং গবেষণার জন্যই ওই সময় প্রয়োজন। সেখানে তার আগেই সব ধাপ সম্পূর্ণ করে ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলে, সেটা আশ্চর্যজনক বটেই।’’

অন্যদিকে, করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় জানিয়েছেন যে, একটা সময় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলি তেমন নিয়ম না মেনেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো। এর ফলে এগুলিতে মানুষের শরীরের কোন ক্ষতি করছে কিনা তা অনেক ক্ষেত্রেই তা জানা যেত না। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” পরীক্ষা-পদ্ধতি মানা হচ্ছে বলেই তো পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এটাকে একটা ইতিবাচক দিক হিসেবেই ধরতে হবে।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!