এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষা ব্যাবস্থায় নৈরাজ্য চলছে, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

শিক্ষা ব্যাবস্থায় নৈরাজ্য চলছে, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

 

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্বে আসার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বৈরথ তৈরি হয় রাজভবনের প্রধান ব্যক্তির। কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে, আবার কখনও বা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ আবার কটাক্ষ করতেও দেখা যায় রাজ্যপালকে। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের প্রশাসনিক বনাম সাংবিধানিক ক্ষেত্রে তীব্র দূরত্ব তৈরি করে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আচার্য তথা রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সাড়ে দশটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। আর তারপরই তাকে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একাংশ। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগানও।

উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, রাজ্যপাল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে থাকলেও তারা সেই অনুষ্ঠান বয়কট করবে বলে জানায় পড়ুয়াদের একাংশ। পরে রাজ্যপাল সেখান থেকে চলে গেলে সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে নিজের এভাবে অপমানিত হওয়ার ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারেননি জাগদীপ ধনকার। আর তাইতো এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার আবেদন জানালেন রাজ্যের রাজ্যপাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বলেন, “রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা চলছে। নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। গত দুই দিন ধরে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমি দুঃখিত। এটা হওয়া উচিত ছিল না। বিশেষ সমাবর্তনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেজন্য আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ আমাকে ঢুকতে দিলেন না। বিষয়টিতে আমি গভীরভাবে ব্যাথিত।” আর শিক্ষাব্যবস্থার নৈরাজ্য নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল প্রকাশ্যেই বিস্ফোরক হওয়ায় এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, যেভাবে রাজ্যপাল শিক্ষাব্যবস্থার নৈরাজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় ডাকলেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রী যদি না যান, তাহলে আবার রাজভবন বনাম নবান্নের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। যা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে তো বটেই, সার্বিক ক্ষেত্রেও বড়সড় অশনি সংকেতের বার্তা বহন করবে বলে মত বিশ্লেষকদের। এখন রাজ্যপালের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসেন কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!