রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক, বরফ গলল কি! জেনে নিন কলকাতা রাজ্য January 1, 2020 রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে জাগদীপ ধনকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। প্রায় বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে রাজভবনের প্রধান ব্যক্তির। আর নবান্ন বনাম রাজভবনের এই দ্বৈরথ রাজ্যের সাংবিধানিক বনাম প্রশাসনিক পরিকাঠামোতে আঘাত হানবে বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারের তরফে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন, তা অত্যন্ত নজিরবিহীন। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে পাল্টা জবাব দিয়ে সংঘাতকে বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে। বিশেষজ্ঞরা এমনটা মনে করলেও, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল কোনো বিষয়ে সরকারের জবাব চাইতেই পারে বলে মনে করছেন একাংশ। তবে অবশেষে বছরের একদম শেষ দিনে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে সহাস্য বৈঠক করতে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে। জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি ট্যুইটারে প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, “শিক্ষাক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর জন্য তিনি যে চেষ্টা করেছেন, তা ফল দিতে শুরু করেছে।” আর এরপরই রাজ্যপালের এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ময়দানে নামতে দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি পাল্টা লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি যেহেতু টুইটারে প্রকাশ করেছেন, সেহেতু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই সরকারের নানা সাফল্যের তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।” অনেকেই বলেছিলেন, এই দ্বন্দ্ব আর মেটার নয়। তবে বছরের একদম শেষ দিনে হয়ত বা রাজ্যপাল বনাম সরকারের যে দ্বন্দ্ব চলছিল, তা মিটতে শুরু করল। সূত্রের খবর, বছরের শেষদিন 31 শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে বৈঠক শেষে সহাস্য ছবি সামনে আসে। এমনকি বৈঠকের পর ট্যুইটে আলোচনায় তিনি অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তবে বৈঠকে ঠিক কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য সেই ব্যাপারে অবশ্য মুখ খোলেনি কোনো পক্ষই। তবে দীর্ঘদিন বাদে রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর সামনাসামনি বৈঠক এবং তারপরে তাদের দুজনের হাসির ছবি দেখে অনেকে মনে করছেন, এবার হয়ত সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে দূরত্ব কমতে শুরু করল। আর বছরের শেষ দিনে রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে দুক্ষেত্রে দুই প্রধান ব্যক্তির এমন সদ্ভাবের ছবি সামনে আশায় রাজ্যের উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কতদিন এই সদ্ভাব বজায় থাকে, সেদিকেই নজড় থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -