রাজ্য-রাজনীতিকে চমকে দিয়ে পিকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে সস্ত্রীক রাজ্যপাল কলকাতা রাজ্য October 12, 2019 হয়ত অতীতে কোনো রাজ্যপাল পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে এত বেশি সক্রিয় হননি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের নিজস্ব গুরুত্ব থাকে। কিন্তু সাংস্কৃতিক বিনিময় থেকে শুরু করে রাজ্যের জ্বলন্ত রাজনৈতিক সমস্যার প্রেক্ষাপটে সরাসরি মন্তব্য করা বা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়া, প্রশাসনিক ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা এরকমই নানান রকমের ঘটনাচক্রের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবাংলার বর্তমান রাজ্যপাল জগদীশ ধানকার তার নিজের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। একদিকে সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নিগ্রহের ঘটনার সময় সেখানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের শেষ ছিল না। একদিকে যেমন এই ঘটনায় রাজ্যপালের সমর্থনে সওয়াল করেছেন একাধিক নেতা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে তেমনই রাজ্য সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতৃত্ব রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার গতকাল দেখা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী আয়োজিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্গা কার্নিভালে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থেকেছেন রাজ্যপাল জগদীশ ধানকার। তাই রাজ্যপালের এই বর্ণময় কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই জল্পনা তুলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। আবার সম্প্রতি বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাতে রাজ্যের প্রবাদপ্রতিম ফুটবল খেলোয়ার ভারতের ফুটবল অধিনায়ক ও জাতীয় দলের কোচ প্রদীপ কুমার ব্যানার্জীর বা পিকের সল্টলেকের বাড়িতে হাজির হন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। সস্ত্রীক উপস্থিত হয়ে বিশিষ্ট ফুটবলারকে বিজয়ার প্রীতি এবং শুভেচ্ছা জানান। জানা যায়, শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন জগদীশ ধানকার। রাজ্যের ক্রীড়াজগৎকে এইভাবে গুরুত্ব দিয়ে অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার ও কোচের বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে রাজ্য রাজনীতিকে রীতিমত চমকে দিলেন তিনি। এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়েও সস্ত্রীক দেখা করে আসেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রদীপবাবু (যিনি ফুটবলমহলে পিকে নামেই বিখ্যাত) তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা। তাই রাজনৈতিক মহলের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সক্রিয় মনোভাবকে নানানভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত চরমে, সেইরকম অবস্থায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং সাংবিধানিক প্রধানের কর্মচাঞ্চল্যতা এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আপনার মতামত জানান -