এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্ণাটক-মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থানের মত আরও এক রাজ্যে মুশকিলে সরকার? থাবা বাড়াচ্ছে বিজেপি?

কর্ণাটক-মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থানের মত আরও এক রাজ্যে মুশকিলে সরকার? থাবা বাড়াচ্ছে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে বেশ কিছু রাজ্যে শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস কোথাও এককভাবে, আর কোথাও বা বিজেপি বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলির সঙ্গে যুথবদ্ধ হয়ে। সাময়িক পরাজয়ের সম্মুখীন হলেও, বিজেপি শেষ পর্যন্ত হারানো অনেক রাজ্যেই পুনরায় নিজেদেরকে শক্তিশালী করে নিতে পেরেছে। তারপর একের পর এক রাজ্যে মূল শাসকদল কংগ্রেসের ভিতে ফাটল ধরিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়েছে ও রাজ্যগুলি পুনরুদ্ধার করেছে।

বিজেপির পুনরুদ্ধারকৃত এই রাজ্যগুলির তালিকায় আছে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি। সম্প্রতি, রাজস্থানে নিজের সরকার টিঁকিয়ে রাখাই একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ড রাজ্যেও কংগ্রেস সরকারের মধ্যে বিভাজনের বলিরেখা ফুটে উঠলো। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, রাজস্থানের সরকারের মতো ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের জোট সরকারও নিজেকে টিকিয়ে রাখার বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, রাজস্থানে ইতিপূর্বে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে যে বিপদজনক ফাটল দেখা দিয়েছিল, ঝাড়খণ্ডেও অনুরূপ ফাটল ধরে গেছে। কারণ, ঝাড়খন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএমের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের উপরে ভীষণ ভাবে অসন্তুষ্ট সরকারে থাকা কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়কের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিধায়ক। ঝাড়খণ্ডের মসনদে বসা সরকারের সঙ্গে, তথা কংগ্রেস দলের সঙ্গে ক্রমশ বিরোধের পারদ উর্ধমুখী হচ্ছে এই বিধায়কদের। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জোট। কংগ্রেসের নিজেদের মধ্যেকার ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেসের অভিমানীদের এই বিরোধ ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির ভেতরেই সীমাবদ্ধ নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কংগ্রেসের তিন অভিমানী প্রবীণ বিধায়ক ইরফান আনসারি, উমাশঙ্কর আকেকা ও রাজেশ কাশ্যপ ইতিমধ্যেই চলে গেছেন দিল্লিতে, দেখা করেছেন কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বাকি অভিমানী বিধায়কেরা যাঁদের মধ্যে আছেন ভি ভি কংগ্রি, ভূষণ বড়, মমতা দেবী, অম্বা প্রসাদ, পূর্ণিমা এন সিং এবং রাম চন্দ্র সিং তাঁরাও রাহুল গান্ধীর নিকট দরবারের আর্জি জানিয়েছেন। এভাবে রাজস্থানের মতো ঝাড়খণ্ডেও কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ঘটতে চলছে এক বিরাট বিরোধ তথা ভাঙ্গন। ঠিক যেমন রাজস্থানে সচিন পাইলটের নির্দেশে তাঁর অনুগামী বিধায়কেরা নিজের সরকারের মধ্যে বিরোধ ঘটিয়ে সরকারে বিভাজনের সৃষ্টি করেছেন, ঝাড়খণ্ডেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় প্রহর গুনছে কংগ্রেস তথা শাসকজোট।

আবার রাজস্থানে যেমন কংগ্রেসের এই বিভাজনের পেছনে বিজেপির পরিপূর্ণ মদত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট , ঝাড়খণ্ডেও অনুরূপভাবে বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে ঝাড়খণ্ডের জনৈক প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, “হেমন্ত সোরেন সরকার রঘুবর দাস পরিচালিত সর্বশেষ বিজেপি সরকারের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী সহ কংগ্রেসের চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অনুরূপ অভিযোগ এনেছেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!