সরকারি ভাতা পাইয়ে দেবার নাম করে ফর্ম বিক্রি করে সদস্য বাড়াচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন? তীব্র বিতর্ক তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য December 3, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –মাঝেমধ্যেই বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তৃণমূল দল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক হয়ে গেছে। সরকারি স্তরে দলীয় নিয়ন্ত্রণ বেশি পরিমাণে হয়ে যাওয়ার কারণেই মানুষ তাদের প্রাপ্য সুবিধা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এবার ঝাড়গ্রাম জেলায় শিল্পীদের নিয়ে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি হওয়ায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, ঝাড়্গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস শিল্পী সমন্বয় সংস্থা নামে একটি সংগঠন তৈরী করা হয়েছে। যার মূল উদ্যোক্তা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সোরেনকে। আর এই সংগঠনের নামে আবেদনপত্র ছাপিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় শিল্পী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি চক্র ফর্ম বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠনের সদস্য হলেই কেন ভাতা পাওয়া যাবে, আর না হলেই কেন পাওয়া যাবে না, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের দলীয় সংগঠনের মধ্যে দিয়ে ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা এবং উদ্যোগ নেওয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ পৌঁছে গেছে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর কাছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্থানীয় সূত্রে এইরকম অভিযোগ পেয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। তারপরে আর ফর্ম বিক্রির অভিযোগ পাইনি।” কিন্তু কোনো আলোচনা না করে কেন শিল্পীদের নিয়ে এইরকম সংগঠন গঠন করা হল! এদিন এই প্রসঙ্গে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অজিত মাহাতো বলেন, “শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য বিনামূল্যে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে বানচাল করার জন্য বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” তবে শিল্পীদের জন্য যে সংস্থা তৈরি করা হয়েছে, তার আগে এখন বসিয়ে দেওয়া হয়েছে “ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিকভাবেই শিল্পীদের সাহায্য করবার জন্য যদি কোনো সংস্থা তৈরি হয়, তাহলে তার আগে কেন কোনো রাজনৈতিক দলের নাম সেখানে ব্যবহার হবে! তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “শিল্পী সংগঠন এভাবে রাজনীতিকরণ না হলেই ভালো হত। আগে শুধু শিল্পী সমন্বয় সংস্থা নামটা দেখেই যুক্ত হয়েছিলাম।” তবে যে যাই বলুন না কেন, সরকারি ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শিল্পী সংগঠন তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক কিন্তু থামছে না কিছুতেই। বিরোধীদের দাবি, যদি সরকারি ভাতা দিয়ে এই শিল্পী-সাহিত্যিকদের সম্মানিত বা সাহায্য করা হয়, তাহলে কেন তাদের তৃণমূলের ছাতা নিয়ে আসতে হবে! এটা আসলে সরকারের দলীয় তন্ত্র কায়েমের নমুনা বলে দাবি করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এই রকম ঘটনা ঘটতে থাকে, তাহলে বিরোধীরা যে তাকে হাতিয়ার করে আরও বেশি করে ময়দানে নামবে, তা বলাই যায়। কিন্তু কেন তৃণমূল শিল্পী-সাহিত্যিকদের টানতে এরকম পদক্ষেপ নিল? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “আমি এই বিষয়ে অবগত নই। খোঁজ নিয়ে জানাবো।” তবে গোটা বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -