এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মানবিক মুখ্যমন্ত্রী – ২০১৯ এ সরকারি কর্মচারীদের ‘যথাযথ প্রাপ্য’ মেটাতে বড় পদক্ষেপ

মানবিক মুখ্যমন্ত্রী – ২০১৯ এ সরকারি কর্মচারীদের ‘যথাযথ প্রাপ্য’ মেটাতে বড় পদক্ষেপ

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সুবিধার কথা ভেবে সরকারি ছুটির দিন সংখ্যা বাড়াতে বড়সড় পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ এ ছুটির দিনগুলো বেশিরভাগই রবিবার পড়ায় কর্মচারীদের প্রাপ্য ছুটির সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। এর জেরে একটু হলেও মন খারাপ হয়েছিল তাদের। তবে নেত্রী পুজোর মুখেই এ ব্যাপারে তাঁর ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন। এদিন হরিদেবপুরের অজেয় সংহতি ক্লাবের পুজো উদ্বোধণ করতে এসে সরাসরি সরকারি এবং সরকার পোষিত সংস্থার কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জানালেন,১৯ এর ছুটির ক্যালেন্ডার তৈরি করতে নিয়ে নজরে এসেছে এবছর ছুটি রয়েছে ৩৫ দিনের। তবে পরেরবছর বেশিরভাগ ছুটির দিনগুলো রবিবার হওয়ায় সেই ছুটিই কমে হয়েছে ২৭দিন। তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য চারদিন সরকারি ছুটি বাড়িয়ে ছুটির দিনসংখ্যা ৩১ করা হয়েছে। সঙ্গে এটাও জানালেন আগামীবছর পুজো শুরু হবে ৫ অক্টোবর থেকে।

দুর্গা পুজা উদ্বোধণের দ্বিতীয় দিনে নেত্রী বেহালা,বড়িশা,হরিদেবপুর,কসবা,বোসপুকুর,বালিগঞ্জের মোট ৮ টি মন্ডপের সূচনা করেন। এদিন পুজো উদ্বোধণ করতে চলেছেন সেলিমপুরপল্লি,ঢাকুরিয়ার বাবুবাগান,মন্ত্রিসভার প্রবীণ সহকর্মী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একডালিয়া এভারগ্রিন, মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমারের ত্রিধারা সম্মিলনী, বালিগঞ্জ কালচারাল ও সমাজসেবীর পুজোর। এদিনের উদ্বোধণী মঞ্চ পুজো উদ্যোক্তাদের রাজ্যের দূষণরোধে কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী। বললেন,দূষণের মূল সর্বনাশ থেকে আমরা মাত্র ১২ বছর দূরে। কীভাবে এই দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। এই ইস্যুতে মুখ্যসচিন মলয় দে’র প্রতিনিধিত্বে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দূষণ প্রসঙ্গেই গঙ্গদূষণের সূত্র ধরেই উদ্বোধণী মঞ্চ থেকে কড়া ধমক দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ইস্যুটি নিয়ে মেয়রকে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন নেত্রী। সঙ্গে বাগবাজারে একটি শিশুর রাস্তা নোংরা করার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশকেও বললেন,পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন হতে। তবে এসবের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মোদীসরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ কে কটাক্ষ করতে ভুললেন না নেত্রী। বললেন,’হাতে ঝাঁটা নিয়ে রাস্তা ঝাঁট দিলেই পরিষ্কার হয় না। আগে হৃদয়টাকে সাফ করতে হবে, সবুজ রাখতে হবে। তবেই পরিবেশ পরিষ্কার হবে।’

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে এসবের পাশাপাশি রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের ছুটির সংখ্যা বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিলেন,তা সত্যিই তাঁর মানবিক রূপটিকেই আরো একবার প্রকাশ্যে আনল। উদ্বোধণী মঞ্চ থেকেই সরকারি কর্মচারীদের নেত্রী বার্তা দিয়েছেন,রাজ্যসরকার তাঁদের পক্ষেই আছে। তাঁদের কিসে সুরাহা হয় তার জন্যেই সবসময় তৎপর থাকেন তিনি। কর্মচারীদের সমস্যাকে প্রাধান্য দিয়েই তা সমাধানকল্পে দফায় দফায় নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী। তাঁর এদিনের ছুটি সংক্রান্ত ঘোষণার পর হাসি ফুটেছে সরকারি কর্মচারীদের মুখে। সরকারের তরফ থেকে পুজোর উপহার হিসাবেই দেখছেন তাঁরা এটাকে। তবে লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতো জনস্বার্থমুখী পরিকল্পনাকে সোজাভাবে মেনে নিচ্ছে না বিরোধীরা। তাঁদের দাবী,সরকারি কর্মচারীদের ভোটব্যাঙ্কগুলো হস্তগত করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক এটি। বিরোধীশিবিরে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!