সরকারি কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক অ্যাপ! জেনে নিন কারণ! জাতীয় রাজ্য May 3, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে বর্তমানে তৃতীয় দফার লকডাউন জারি করা হয়েছে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। দ্বিতীয় দফার লকডাউন আগামী 3 মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তৃতীয় দফার লকডাউনের কথা বলে আগামী 17 মে পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে রেড জোন, অরেঞ্জ জোষ এবং গ্রীন জোনের কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যেখানে একদমই আক্রান্ত নেই, সেই এলাকাকে গ্রীন জোন হিসেবে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে সেই গ্রীন জোনে সোমবার থেকে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে 33% কর্মী অফিস এলেও, বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এমত পরিস্থিতিতে যখন তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, ঠিক তখনই প্রত্যেক সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীর স্মার্টফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল। এছাড়াও করোনা সংক্রমিত এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই অ্যাপটি ডাউনলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অ্যাপের কথা দেশবাসীকে জানান। যেখানে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মাধ্যমে এই অ্যাপ ডাউনলোড করলে কোনো ব্যক্তি জেনে যেতে পারবেন যে, তিনি করোনা সংক্রমিত এলাকায় রয়েছেন কি না! এছাড়াও করোনা উপসর্গ কি এবং কিভাবে এই সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়, তার ব্যাপারেও উপযুক্ত বার্তা পাওয়া যায় এই অ্যাপ থেকে। তবে এতদিন এই অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যতামূলক বিজ্ঞপ্তি ছিল না। কিন্তু এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি। এদিন এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেক সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীর জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপটি বাধ্যতামূলক করা হবে। সেই কোম্পানিকেই নিশ্চিত করতে হবে যে, 100% কর্মী অ্যাপটি নিজেদের ফোনে রেখেছেন কিনা। সব মিলিয়ে এখন আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিজেদের ফোনে রাখার ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক করায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কতটা ফলপ্রসু হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -