রাজ্য বাজেটের পরেও বকেয়া ডিএ ও পে কমিশন নিয়ে ধোঁয়াশা, চূড়ান্ত হতাশ সরকারি কর্মীরা কলকাতা রাজ্য February 5, 2019 গতকালই রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে রাজ্য বাজেট। আর এই রাজ্য বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে বরাদ্দ 4 হাজার 726 কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর সরকারের তরফে বাজেটে বেতন ও পেনশন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে অনেকেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2018-19 এর রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন খাতে বরাদ্দ ছিল 42 হাজার 70 কোটি এবং 15 হাজার 717 কোটি টাকা। কিন্তু গতকালের রাজ্য বাজেটে সরকারের তরফে তা বেড়ে যথাক্রমে 46 হাজার 607 কোটি এবং 15 হাজার 906 কোটি টাকা করা হয়েছে। তবে রাজ্য বাজেটে বেতন ও কমিশনের বৃদ্ধি করা হলেও তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের এই বাজেটকে ধাপ্পাবাজি বলে কটাক্ষ করে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ” এই বাজেটে সরকারি কর্মীদের ডিএ এবং বেতন কমিশন কার্যকর করার বিষয়ে কোনো কথা নেই।” তবে শুধু সুজন চক্রবর্তীই নয়, রাজ্য বাজেট নিয়ে সমালোচনা সুর শোনা গেছে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলোর গলাতেও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভরমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই বাজেট থেকেই স্পষ্ট যে সরকারি কর্মীদের জন্য পে-কমিশন কার্যকরের কোনো ইচ্ছাই রাজ্য সরকারের নেই। ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে রাজ্যের বাজেটের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয় শংকর সিনহা বলেন, “রাজ্য সরকার কর্মীদের সমস্ত দিক থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। যা কর্মচারী সমাজের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক।” অন্যদিকে সরকারের তরফে পেশ করা এই বাজেটের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল বলেন, “এই বাজেট থেকে স্পষ্ট যে পরিবর্তনের সরকার কর্মীদের কিছু দেবে না। আর তাই বেতন ও পেনশন খাতে সামান্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বাজেট সরকারি কর্মীদের মনে হতাশা সৃষ্টি করল।” তবে বিরোধীদের তরফে সরকারের বিরুদ্ধে এই বাজেটকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য যখন হতাশাজনক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে ঠিক তখনই ষষ্ঠ বেতন কমিশন দ্রুত কার্যকর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিতভাবেই কোনো উদ্যোগ নেবেন এবং এই বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অন্যতম দুই নেতা দিব্যেন্দু রায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার বেতন ও কমিশন বাড়ালেও ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে বাজেটে কোনো কথা না শুনে যাওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করে দিল বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -