এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্মচারীদের সঙ্গে বড় ধোঁকা? পিএফ কেটেও জমা করছে না 13 হাজার সংস্থা? শুরু তীব্র জল্পনা

কর্মচারীদের সঙ্গে বড় ধোঁকা? পিএফ কেটেও জমা করছে না 13 হাজার সংস্থা? শুরু তীব্র জল্পনা


 

কর্মচারীদের থেকে পিএফ আদায় করে, সময়ে তা সরকারের কাছে জমা না করার অনেক নজির রয়েছে। রাত্রে তো বটেই, গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও এই পিএফের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়। পিএফের গ্রাহকদের হয়রানি রুখতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

জানা গেছে, বর্তমানে এরাজ্যের প্রায় 13 হাজারের মত সংস্থা পিএফের টাকা খেলাপি করেছে। যেখানে প্রায় সাড়ে আট হাজারের মত সংস্থার বিরুদ্ধে পিএফ জমা না করার মত অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টাকা জমা না করার সংস্থাগুলোকে বাগে আনতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যে সমস্ত সংস্থা কোনো এক মাস পিএফের টাকা জমা করবে না, তাদের নাম এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই নির্দেশের ফলে অনেকে মনে করেছিল, নিজেদের সুনাম অটুট রাখতে সেই সংস্থাগুলো নিজেদের ভালোর জন্য দ্রুত সেই টাকা মিটিয়ে দেবে। তবে কেন্দ্র এই ব্যাপারে গর্জন তর্জন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না করায় বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে 13 হাজার 550 টি সংস্থা তাদের টাকা পিএফ অফিসে জমা দিচ্ছে না। তাছাড়াও 5 হাজার 116 টি সংস্থা রয়েছে। যারা তিন মাস ধরে পিএফের টাকা জমা করছে না। ইতিমধ্যেই এই তথ্য কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বস্তুত, সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্প নেওয়া হয়। পেনশন বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা থেকে শুরু করে তা যাতে আরও বাড়ানো যায়, সাম্প্রতিককালে সেই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

কিন্তু কর্মচারীরা যেভাবে স্বার্থবিরোধী কাজ করছে এবং টাকা খেলাপির দিক থেকে যেভাবে প্রতিনিয়ত সেই সমস্ত সংস্থার সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এখন রীতিমত চিন্তিত পিএফ কর্তৃপক্ষ। এদিন এই প্রসঙ্গে এক পিএফ কর্তা বলেন, “পিএফ সংক্রান্ত পাওনা গন্ডা যাতে কর্মীরা সঠিক সময়ে পান, তার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও যেভাবে পিএফ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সেটা বাগে আনতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা জরুরি।”

কিন্তু ঠিক কি প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে! এত সুবিধা দেওয়ার পরেও কেন পিএফ খেলাপির দায়ে অভিযুক্ত সংস্থাদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে! এখন তা নিয়েই চিন্তার ভাঁজ রয়েছে সকলের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!