এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভ বাড়লো, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে কর্মচারী সংগঠন-জেনে নিন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভ বাড়লো, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে কর্মচারী সংগঠন-জেনে নিন বিস্তারিত


ফের একবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। জানা যাচ্ছে এদিন নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন পূজা কমিটি গুলিকে বিদ্যুতের জন্য 25% ছাড় দেওয়া হবে এবং সাথে পুজোর অনুদান বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন আর্থিক অবস্থা খারাপ তবুও আমরা গতবার 10 হাজার টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু অনেক কষ্টের মধ্যে থেকেও আমরা সেটা বাড়িয়ে 25 হাজার টাকা করলাম। কিন্তু এই ঘোষণায় পূজা কমিটিগুলোতে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়লেও বেজায় চটেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি ক্ষোভ বেড়েছে শিক্ষকমহলেও। আর এক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের কিংবা শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রকাশের কয়েকটি কারণ আছে বলে মত সংশ্লিষ্টমহলের। তাদের দাবি বকেয়া মহার্ঘভাতা ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট এখনও ঝুলে রয়েছে। যতদূর জানা গেছে বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ফলে দিনকে দিন ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।

আর এর মধ্যে যখনই কথা উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন রাজ্যের হাল ভালো নয় যে কারণে তিনি বকেয়া মেটাতে পারছেন না। আর সেখানেই সরকারি কর্মচারীমহলের প্রশ্ন যদি তাই হয় তাহলে পুজোর অনুদান কেন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? সেই টাকা এলো কোথা থেকে ?

প্রসঙ্গত ডিএ না পাওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের করা মামলায় জয় পেয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।সেখানেও আদালত রায়রায় দিয়েছেন যেন শীঘ্রই কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ আদালতের নির্দেশ থাকলেও এই নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার। কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় বিরোধীরা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ফলে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষনায় ক্ষোভে ফের নতুন করে ঘি পড়লো বলে মত রাজনৈতিকমহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই নিয়ে সরকারি পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান -“খেলা মেলা লীলা এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে রাজ্য সরকারের টাকা আছে শুধুমাত্র বঞ্চিত বঞ্চিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে কোন টাকা নেই। কন্যাশ্রী,স্বাস্থ্য সাথীর জন্য টাকা আছে কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মেটাবার মত টাকা সরকারের নেই। নিয়ম করে প্রত্যেক বছর পুজো কমিটিগুলোকে টাকা বাড়িয়েদেওয়া হবে, ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া হবে।বাদ যাবে শুধুমাত্র কর্মচারীরা তারা কিছু চাইলেই একটাই উত্তর উন্নয়ন বন্ধ করে কোন কিছু করতে পারবোনা। আর এদিকে উন্নয়নের নামে এইভাবে পুজো কমিটির ক্লাবকে টাকা বিলি করা হচ্ছে এগুলো কোথা থেকে আসছে? আর এদিকে উন্নয়নের নামে এইভাবে পুজো কমিটির ক্লাবকে টাকা বিলি করা হচ্ছে এগুলো কোথা থেকে আসছে?”

সাথেই তিনি দাবি করেন যে, “আমরা এই অন্যায় কোনোভাবে মেনে নেব না। তাই আগামী 3 তারিখে দশটি সংগঠন মিলে যৌথ সংগ্রাম কমিটির তরফ থেকে প্রেস কনফারেন্স করা হবে এবং 12 তারিখে অনশন অবস্থানে বসা হবে। এখানে শেষ নয়, 12 তারিখের পর সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফ থেকে মাননীয় রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে।সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হবে আমরা যাব।”

সাথেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন যে “দিদিমণি খুব তাড়াতাড়ি 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ভুলে যাচ্ছেন।বাংলায় তৃণমূলের আসন কমেছে আর তার প্রধান অন্যতম কারণ সরকারি কর্মচারীরা। যতই প্রশান্ত কিশোর আসুক না কেন? সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ রয়েছে তা যতদিন না মেটাতে পারবেন ততদিন কিছু লাভ হবে না। এমন চলতে থাকলে 2021 এর নির্মূল হয়ে যাবে তৃণমূল।”

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে যে ব্যালট ভোট হয়েছে সেখানে সিংহভাগ আসনই দখল করেছে বিজেপি এবং তার প্রথম এবং প্রধান কারণ হিসেবে সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক মহলের ক্ষোভই দায়ী বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!