এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরকারি টাকায় অত্যন্ত নিম্নমানের রাস্তা, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্বয়ং তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী!

সরকারি টাকায় অত্যন্ত নিম্নমানের রাস্তা, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্বয়ং তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে তৃণমূলের সরকার রয়েছে। অধিকাংশ পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ তৃণমূলের দখলে। কিন্তু এবার রাস্তার কাজ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী জাকির হোসেন। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গ্রাম সড়ক যোজনায় ফারাক্কার কেন্দুয়া থেকে বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদাবড়া পর্যন্ত সাড়ে 12 কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

গত সোমবার সেই রাস্তা নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রাজ্যের শ্রমদপ্তর প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। কিন্তু ঠিকাদারদের দিয়ে রাস্তা খুড়ে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে সরব হন মন্ত্রী। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যেভাবে মন্ত্রী প্রকাশ্যে এই কাজ নিয়ে সরব হলেন, তাতে ঠিকাদারদের ভূমিকা নিয়ে এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এই কাজ হলেও কেন তা ঠিকমতো হচ্ছে না, তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এই রাস্তা নির্মাণের জন্য মোট 14 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ফলে এত টাকা বরাদ্দ হয়েও, যেভাবে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কাজ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী রাস্তাটি 22 ইঞ্চি পুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা 15 ইঞ্চি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পাইলিংয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তাটির নির্মাণের জন্য ঝাড়খন্ড থেকে আসা সমস্ত ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস ধরে কাজ চলছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় এক মাসের মধ্যেই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। অবিলম্বে তদন্ত হোক। আমি বিষয়টা জেলাশাসককে জানিয়েছি। দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। কারণ সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট মেনে নেওয়া যায় না।”

তবে মন্ত্রী এই ধরনের অভিযোগ তুললেও, তাকে সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার মহম্মদ সেলিম। আর এতে আরও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মন্ত্রী যেখানে কাজ দেখে এই ধরনের অভিযোগ করছেন, সেখানে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হলো কেন!

এদিকে গোটা বিষয়টি যেহেতু জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে, এদিন সেই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজিব হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার রাস্তা নির্মাণের কাজ দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে জেলাশাসককে দেখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী জাকির হোসেন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!