এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রতিবাদের নামে গত কয়েকদিনের তাণ্ডবে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

প্রতিবাদের নামে গত কয়েকদিনের তাণ্ডবে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে!


 

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষ পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যেই সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন মহামহিম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যার ফলে সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়ে যাওয়ার পরই উত্তর-পূর্ব ভারতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। ইতিমধ্যেই এই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত জ্বলতে শুরু করেছে।

মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা, উলুবেড়িয়া থেকে উত্তর 24 পরগনা বিভিন্ন প্রান্তে বাস অবরোধ করা হচ্ছে। বাস, স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিনে এই নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে যে হিংসাত্মক আন্দোলন চলেছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 31 টি সরকারি বাস। যার মধ্যে প্রায় 11 টি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বাসের তুলনায় বেশি ক্ষতি হয়েছে বেসরকারি বাস। যেখানে প্রায় 55 থেকে 60 টি বেসরকারি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রেলের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ্য করা গেছে।

সূত্রের খবর, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর বিভাগে প্রায় 15 কোটি 77 লাখ 33 হাজার 779 টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে বেসরকারি বাসে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হওয়ায়, এখন প্রবল চিন্তিত সেই বেসরকারি বাস মালিকরা। তাদের আশঙ্কা, এই বাস ঠিক করতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। ফলে সংস্থা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ঠিক তেমনই যাত্রীরাও প্রবল বিপাকে পড়বেন।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নাগরিকত্ব আইনের পরিপ্রেক্ষিতে যে হিংসাত্মক আন্দোলন চলেছে, তাতে তাদের চারটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে এনবিএসটিসির মোট 16 টি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় আটটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে সেদিক থেকে সরকারি বাসের ক্ষতির পরিমাণ যে আকাশকুসুম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত যা খবর এসেছে, তাতে গোটা রাজ্যে আমাদের সংগঠনের বাস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যাটা কম বেশি 50। তার মধ্যে 15 টি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যা খবর এসেছে, তাতে গোটা রাজ্যে সব মিলিয়ে 55 থেকে 60 টি বেসরকারি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি বাসের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত সাতটি পরিবার যুক্ত থাকে। গত কয়েক দিনে যা ঘটল, তার দায় কে নেবে! যেসব বাস ক্ষতিগ্রস্ত হল, তার সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিবারগুলো কি খাবে! আমাদের দাবি, বিমার টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, তা পুলিশ প্রশাসনকে দেখতে হবে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াক, এটা আমরা চাই।”

তবে এই ব্যাপারে ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পল্লব মজুমদার বলেন, “বিমার টাকা পেয়ে পুড়িয়ে দেওয়া বা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাসগুলোকে রাস্তায় নামাতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। এই ছয় মাসে যাত্রীরা যেমন বাস পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনই বাসগুলি থেকে মালিকদেরও কোনো আয় হবে না। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা প্রশাসনকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখতে হবে।”

সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর যেভাবে বাংলা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ যে ক্রমশ বাড়ছে এবং সেই ক্ষতি কিভাবে মেটানো যাবে! এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!