এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > সরকারে আসার 9 বছর পরেও করম পরব নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানে ধোঁয়াশা! চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ কুড়মি সমাজ!

সরকারে আসার 9 বছর পরেও করম পরব নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানে ধোঁয়াশা! চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ কুড়মি সমাজ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উন্নতিকরণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। প্রত্যেকের মন বুঝে চলার জন্য প্রতিটি সম্প্রদায়ের উৎসবের দিন বাড়তি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে অন্যতম করম পরব। কিন্তু এবার সেই উৎসব ঘিরে সরকারি ছুটির নির্দেশিকা ঘিরেও তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল। জানা গেছে, ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছর এই উৎসবের দিন সেকশনাল হলিডে ঘোষণা করা হয়। গত 17 আগস্ট এই ছুটির নির্দেশিকা জারি করা হয় রাজ্যের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে।

যেখানে বলা হয়, আগামী 29 আগস্ট করম পূজা উপলক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত রাজ্য সরকারি কর্মী এবং রাজ্য সরকারের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থার কর্মীরা ছুটি পাবেন। আর সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করার পরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাদের বক্তব্য, করম পূজার সরকারি ছুটি নির্দেশিকায় কুড়মি সম্প্রদায়ের কোনো উল্লেখ নেই। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে অর্থ দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশিকা বদলের দাবি জানিয়েছেন কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজেশ মাহাতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “ছুটির নির্দেশিকায় করমদের উল্লেখ না থাকায় গত বছরও কুড়মি সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মীরা সকাল থেকে করম পরবে যোগ দিতে পারেননি। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঁকুড়া, নদিয়া, উত্তর 24 পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের মানুষদের কাছে করম উৎসব অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভাদ্র মাসের পার্শ্ব একাদশীর সন্ধ্যায় করম গাছের ডাল পুঁতে কুমারীরা এই পুজো করেন। যেখানে সমৃদ্ধি এবং সন্তান কামনার জন্য এই পুজো করা হয়। রাজ্য সরকার এই পর্বের দিন ছুটি দিলেও, সেখানে কুড়মি সম্প্রদায়ের কোনো উল্লেখ না থাকায় এবার প্রবল ক্ষিপ্ত হয়েছে সেই সমস্ত সম্প্রদায়।

আর তাই এই ব্যাপারে নির্দেশিকা বদলের দাবি জানিয়ে রাজ্যের অর্থ দপ্তরে চিঠি পাঠানো হল। এদিন এই প্রসঙ্গে কুড়মি সমাজের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “গতবার আমরা দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও সেই একই ভুল হল। উৎসবের দিনে পথে নেমেই আমরা এর প্রতিবাদ করব।” আর এই রকম ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে, তাহলে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্য সরকারের কাছে এই ব্যাপারে কুড়মি সম্প্রদায় আপত্তি জানালেও রাজ্য তাদের নির্দেশিকা বদল করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!