এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > সরকারি চিকিত্‍সার নামে জনপ্রতিনিধিদের টাকা দেবেন না – ‘বিস্ফোরক’ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

সরকারি চিকিত্‍সার নামে জনপ্রতিনিধিদের টাকা দেবেন না – ‘বিস্ফোরক’ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশকে টার্গেট করেই দলীয় প্রচার কর্মসূচির জন্যে দুদিনের সফরে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাড়ি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ছিল কেশিয়াড়িতে নেত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। বৈঠকে বসেই পুলিশ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্তা প্রত্যেকেই জনপরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশ দিলেন নেত্রী।

সরকারি চিকিৎসার নামে জনপ্রতিনিধিদের টাকা না দেওয়ার বড় কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী। চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি নির্মল বাংলা কিংবা গীতাঞ্জলী প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার মতো রাজ্যসরকারের একাধিক প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিরা বেআইনিভাবে টাকা নিচ্ছেন,এমনটাই অভিযোগ কানে এসেছে নেত্রীর। বৈঠকে সেই অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলেই জনপ্রতিনিধিদের ধমক দেন নেত্রী।

নির্মল বাংলা প্রকল্পে সরকারি নজরদারির কথা জানিয়ে বলেন, একটা সময় ছিল পঞ্চায়েতের টাকা জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে রেখে দিতেন। গীতাঞ্জলী প্রকল্পেও প্রচুর টাকা পকেটস্থ করেছে জনপ্রতিনিধিরা,রেশন দোকানে প্রাপ্য চাল কেটে নেওয়ার অভিযোগও আসছে, এমনকি যে সরকারি চিকিৎসার পরিষেবা বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা সেখানেও টাকা নিচ্ছে জনপ্রতিনিধিরা। এরকম চলতে পারে না বলে হুমকি দিলেন নেত্রী।

এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দাবী দাওয়ার কথা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের মুখে পড়তে হয় শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে নেত্রী বললেন,’আগে নিজেরা কাজ করুন। আপনারা খালি চাইবেন আর আমি এসে কাজ করে দেব?’

এদিন বৈঠকে সাংসদ মানস ভুঁইয়া অভিযোগে জানান,টোল ফাঁকি দিয়ে ভারী গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকে পড়ায় বাংলা সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগ শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দেন,টোল ফাঁকি দিয়ে এসব করা যাবে না। ৪ চাকার লরি ছাড়া গ্রামের রাস্তায় কিছু ঢুকতে দেওয়া যাবে না। খুঁটি পুঁতে,ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর পরামর্শ দেন নেত্রী। প্রয়োজনে মোটা টাকা জরিমানা করতেও বলেন তিনি। সঙ্গে এটাও জানান,গোটা বাংলাতেই এই নিয়ম প্রযুক্ত হবে।

সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে নেত্রীর নির্দেশ,সামান্য ব্যাপারে অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের কোলকাতার হাসপাতালে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। এটা করার ফলে সমস্যা হচ্ছে। অনেক রোগীর পথেই মৃত্যু হচ্ছে। জেলায় জেলায় প্রচুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসা পরিষেবা আগের থেকে অনেক উন্নত। এখন গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা গ্রামেই হওয়ার কথা। তার জন্যে কোলকাতার হাসপাতাল রেফার করা লাগে না। ধমকের সুরে জানালেন নেত্রী।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অবিলম্বে ক্যাথল্যাব পরিষেবা চালুর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন। সেই প্রসঙ্গেই বামেদের নাম উল্লেখ না করেই শালবনি হাসপাতাল নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের ডাক্তারদের সংগঠন মিথ্যা প্রচার করছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। বামেরা রাজ্যসরকারের অপপ্রচার করছে এমনটাই দাবী নেত্রীর। শালবনী হাসপাতাল থেকেও বিনা মূল্যে পরিষেবা মিলবে এমনটাই জানিয়ে দিলেন নেত্রী।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সঙ্গে এটাও বললেন,যারা এরকম মিথ্যা রটনা করছে তাদের চিহ্নিত করে ফেলেছেন নেত্রী। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ দিলেন নেত্রী। বামেদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বললেন,’এভাবে বন্‌ধ-ধর্মঘট করে ৩৪ বছর ওরা চালিয়েছে। আর ওদের সুযোগ নয়।’ বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে নেত্রীর বার্তা, প্রকৃত চিকিৎসক কেবল চিকিৎসাই করেন,রাজনীতি করেন না। জঙ্গলমহলে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়োগের পরামর্শও দিয়েছেন নেত্রী,এদিনের বৈঠকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!