প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোয়াতে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই তাঁর পোস্টারে কালি ছিটিয়ে দেওয়া, তাঁর পোস্টার ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গোয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শান্তিপুরের প্রচার সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি বলে রাখতে চান যে ১০ গোল দেবেন, যদি দিতে না পারেন, তবে রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পা দেবেন না তিনি। তিনি জানান, গোয়াতে, ত্রিপুরাতে মিটিং করার অনুমতি দিচ্ছে না বিজেপি সরকার। সভার জন্য অনুমতি না পেলে তাঁরা রাস্তায়ই সভা করবেন। এভাবে তাদেরকে আটকানো যাবেনা। আবার, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, গোয়াতে তৃণমূলের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এই ধরনের কাজ করেছে বিজেপি।

এবার এ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, গোয়াতে বিজেপির কাছে তৃণমূল কংগ্রেস নস্যি। তৃণমূল কংগ্রেস নিজের প্রচার পাওয়ার জন্য, হাইপ পাওয়ার জন্য নিজেরাই নিজেদের পোস্টার, ফ্লেক্সগুলি ছিড়েছে, বিজেপি কেন এসব ছিঁড়তে যাবে? তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, মা-মাটি-মানুষকে গোয়ার ভাষায় কি বলে? কেউ জানে না। গোয়াতে তৃণমূলকে সকলেই বহিরাগত বলবে।

এভাবে, গোয়াতে তৃণমূলের পোস্টার, ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করার মোক্ষম জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করা হয় না। রাজ্যের কোন সমবায়ে নির্বাচন করা হয় না। যেখানে নির্বাচন, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস দূরে চলে যাচ্ছে। কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচন নেই, হাওড়া কর্পোরেশনে নির্বাচন নেই, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৫% আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি জানান, তৃণমূল কোন স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে বিশ্বাস করে না।