এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বড়সড় সুখবর মৎস-প্রেমীদের জন্য! আর গঙ্গা-পদ্মার অপেক্ষা নয়, এবার ইলিশ চাষ বাংলার গ্রামে-গঞ্জে

বড়সড় সুখবর মৎস-প্রেমীদের জন্য! আর গঙ্গা-পদ্মার অপেক্ষা নয়, এবার ইলিশ চাষ বাংলার গ্রামে-গঞ্জে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– ইলিশ মাছের কথা হলেই মনে আসে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতাটি। “ইলশে গুঁড়ি ইলশে গুঁড়ি, ইলিশ মাছের ডিম/ ইলশে গুঁড়ি ইলশে গুঁড়ি, দিনের বেলায় হিম”।। কথাটা কিন্তু সর্বার্থে সত্যি। কারণ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়লেই বাঙালির মন খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজার জন্য হুহু করে ওঠে। বাঙালির পাতে বর্ষায় ইলিশ উঠবেনা সেটা ভাবাই যায়না। তবে সম্প্রতি নানা কারণে সেই মাছের দাম যা হয়েছে তাতে মাছ খাওয়ার আগে মাছে হাত দিয়ে শক খেতে হবে। তবে সেই সমস্যা সমাধানের একটা পথ বের করেছে সরকার।

জানা গেছে, আর পদ্মার ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে না। বাংলার বিভিন্ন জেলার গ্রামে গঞ্জেই এবার চাষ হবে মনিপুরী ইলিশ বা পেংবা। সম্প্রতি রাজ্যের মৎস্যদপ্তর এমনই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সেই উপলক্ষে ভাতার ব্লকের ১৮ জন উপভোক্তাকে এই পেংবা বা মনিপুরী ইলিশের চারা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে সেই সঙ্গে সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। মৎস্য সম্পদ যোজনাতে (PMMSY) আগামী ৫ অর্থবর্ষে ২০ হাজার ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদী মাছ চাষীদের জন্য একটি নতুন অ্যাপও করে দেবেন বলে জানা গেছে।

[content_block id=39107

তবে কি এই পেংবা ইলিশ? জানা গেছে পেংবা ইলিশকে মনিপুরী ইলিশ বলা হয়। এদের দেখতে অনেকটা দেশি পুঁটি মাছের মত। তবে সাধারণ পুঁটি মাছের মত দেখতে হলেও আকারে কিন্তু এগুলো পুঁটি মাছের চেয়ে কয়েকগুন বড় হয়৷ তবে সেই সঙ্গে স্বাদে ও গন্ধে ইলিশের সঙ্গে এর ফারাক করা যায় না। তাই ইলিশের বদলে মনিপুরী ইলিশই সকলের মন জয় করতে পারবে বলে আশাবাদী রাজ্যের কৃষি দপ্তর। এই মাছ চাষে খরচও হয় অনেক। অন্য মাছের জন্য অনেক খাবার দিতে হলেও এই মাছ উদ্ভিদ বা শ্যাওলা খেয়েই বড় হয়। সেই সঙ্গে খুব তাড়াতাড়িই এরা বেড়েও যায়। জানা গেছে এক একটি মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে।

অনুমান করা যায়, মাছ চাষীদের উৎসাহ দিতেই হয়ত মোদী সরকার এই বিশাল বিনিয়োগ করছে। খবর নিয়ে দেখা গেছে ,এখনো পর্যন্ত এত বড় বিনিয়োগ দেশের কোনো মৎস্য চাষে করা হয়নি। তবে সেই সঙ্গে কৃষি ও পশুপালনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে দেশে চাষীদের জন্য এখনো কোনো অ্যাপ নেই। তাই সেক্ষেত্রে নতুন ই-গোপাল অ্যাপ আনবে কেন্দ্র। জানা গেছে, যার মাধ্যমে চাষ সম্পর্কিত তথ্যাদি ছাড়াও কীটনাশক, সার, বীজ ইত্যাদির সুবিধা দেওয়া হবে কৃষকদের। তার সঙ্গে সরাসরি পণ্য বিক্রির সুবিধাও তারা পাবেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!