প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উপপ্রধানকে সামনে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গেছে গ্রামবাসীদের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে (সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয় বন্ধু বাংলা), এক ব্যক্তিকে ঘিরে ঘরে গ্রামবাসীরা প্রশ্ন করে চলেছেন, কিন্তু সেখান থেকে কার্যত হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে কোনো রকমে পালিয়ে আসছেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ার চুরুলিয়া গ্রামে। জানা গেছে, উপপ্রধানকে পেয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের কথায়, চাকরি না করেও ওই উপপ্রধান কীকরে ৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন? সম্প্রতি, চুরুলিয়া গ্রামের হরিমন্দিরে ভোটার লিস্ট সংশোধনীর কাজ চলছিল।

সেইসময় মারমুখী এক গ্রামবাসী স্বপন রুইদাস, উপপ্রধান প্রদীপবাবুর উপর চড়াও হন। স্থানীয় বাসিন্দা ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে, গ্রামে যেখানে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি, সেখানে উপপ্রধানের ৪০ লক্ষ টাকার বাড়ি হয় কি করে।তাঁর কুড়ি-তিরিশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

তাঁর কথায়, “এতটাকা কোথা থেকে এল?” আর এরপর প্রকাশ্যেই উপপ্রধানকে তিনি গালিগালাজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, হাতে থাকা টর্চ নিয়ে রীতিমতো মারমুখী হয়ে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে দেখা গেছে, স্বপন রুইদাসকে থামাতে কেউ এগিয়ে আসেননি। উল্টে শেষ পর্যন্ত হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে চলে যান উপপ্রধান।

আর তারপরেই হাততালির আওয়াজ ওঠে। যদিও চুরুলিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ মুখোপাধ্যায়কে এই ভিডিওটির সত্যতা স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে। কিন্তু তাঁর কথায়, কিছুদিন আগে নির্মল বাংলা প্রকল্প নিয়ে চুরুলিয়ার দক্ষিণ রুইদাস পাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর শৌচাগার তৈরি নিয়ে আলোচনা ছিল।

আর সেই সময়ই স্বপন রুইদাস নামে এক গ্রামবাসী ভিত্তিহীন কথা বলতে শুরু করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। তাঁর কথায়, ওই ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে উসকানিমূলক মন্তব্যও করেন। যদিও তাঁর মতে, ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। তাই পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে রুইদাস পাড়া থেকে তিনি চলে আসেন বলেই দাবি করেন।

তাঁর কথায় এই সমস্ত ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। এদিন তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন যে, “ওই ব্যক্তি আগে সিপিএম করত। এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আমাদের হেনস্তা করতে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়।”

সেইসঙ্গে তাঁদের হেনস্থা করতেই গোপনে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও এই ঘটনার পর জামুড়িয়ার বিজেপি নেতা জানান, চুরুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজই হয়নি। তাই এলাকার মানুষ ক্ষোভপ্রকাশ করছেন। তাই এর সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই বলেই দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে।