এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীর পাশে দাঁড়াতেই বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে সাট্টাবাজের নাম জড়িয়ে দেওয়া শুরু?

গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীর পাশে দাঁড়াতেই বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে সাট্টাবাজের নাম জড়িয়ে দেওয়া শুরু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বারবার বেছে বেছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই আবহে খড়গপুরে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, এই বিজেপি কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর বিকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন।

সেই সঙ্গে ৭ জন বিজেপি কর্মীকে ট্যাগ করেছিলেন তিনি। এদের প্রত্যেকের নামে মামলা জারি হয়েছে। ধৃত বিজেপি কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শহরের বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকেই তৃণমূলের একাংশ বলতে শুরু করেছেন যে, অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় একজন সাট্টা জুয়া কারবারিকে ছাড়িয়ে আনতে থানাতে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি, মাহিন্দ্রা শংকর নামের এক বিজেপি কর্মী সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তিনি ৭ জন বিজেপি কর্মীকে পোস্টে ট্যাগ করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গ্রেফতার ও ৭ জন বিজেপি কর্মীর নামে মামলা শুরু হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সম্প্রতি থানায় গিয়েছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এরপরেই অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে সাট্টা বাজের সঙ্গে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে শুরু করেছে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় তীব্র বিতর্কর সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নামে এই অভিযোগ করেছেন তারা খড়্গপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকারের কাছের লোক বলে পরিচিত আছেন। প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন, হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিধায়ক হবার পর প্রথমবার শহরে এসে সাট্টা কারবাড়িকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশের কাছে তিনি গিয়েছিলেন, যা প্রত্যাশিত নয়।

এ প্রসঙ্গে খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিজেপি কর্মী মাহিন্দ্রা শঙ্করের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা তাঁর নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর বক্তব্য রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি? তিনি আরও জানালেন, খড়্গপুরে সাট্টা হয় কিনা? জানেন না তিনি।

বিজেপি কর্মী মাহিন্দ্রা শংকরকে গ্রেপ্তার সম্পর্কে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রা শংকর সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। যা একটি ঘৃণ্য অপরাধ। আরো বেশ কিছু মানুষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। মাহিন্দ্রা শংকরকে তাঁরা নিজেদের হেফাজতে রেখেছেন।

পুলিশের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন যে, অন্যায় করেছেন বলেই তো মাহিন্দ্রা শঙ্করকে পুলিশ নিজের হেফাজতে রেখেছে, কিন্তু সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীরা যে আক্রান্ত হচ্ছেন, এই জেলাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওপরেও আক্রমণ করা হয়েছে, যারা রাজ্যজুড়ে রক্তাক্ত হিংসার কারবার চালাচ্ছে, তাদের কতজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিতে পেরেছে? এভাবে দলের একজন কর্মীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অভিনেতাকে সাট্টা বাজের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়ায়, রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!