এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গ্রেপ্তার হতেই করোনার ‘সহানুভূতি’ অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চান মমতার মহারথীরা? বাড়ছে জল্পনা

গ্রেপ্তার হতেই করোনার ‘সহানুভূতি’ অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চান মমতার মহারথীরা? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তারা কেউ রাজ্যের মন্ত্রী, কেউ কলকাতা পৌরসভার দায়িত্বে। আবার কেউ বা দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবঙ্গে সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে নারদা কান্ডের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে। এছাড়াও সিবিআইয়ের হাতে আটক হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে করোনা ভাইরাস আটকাতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। প্রতিমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে থেকে সেই কাজে সহযোগিতা করতে দেখা যাচ্ছিল ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের এই গ্রেফতার আদতে করোনা পরিস্থিতি থেকে গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়া বলে দাবি করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-মন্ত্রীরা জানাচ্ছেন, তারা করোনা থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দেওয়ার কাজ করছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাদেরকে এইভাবে আটক করে নেওয়া মোটেই ভালো কথা নয়। তবে ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা যে কথাই বলুন না কেন, সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, আসলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন সহানুভূতি আদায় করতে করোনা ভাইরাসের জন্য তারা কাজ করছিলেন, আর সেই সময় তাদেরকে আটক করা হল বলে মানুষের সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করছেন এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা। তবে আইন আইনের পথেই চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয় নিয়ে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি রাজ্যে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আটক করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। আর তারপরই ফেসবুকে সরব হতে দেখা যায় তাকে। যেখানে তিনি লেখেন, “আজ আমাকে ও আমার সতীর্থদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হল। বিজেপির প্রতিহিংসা আসলে বাংলার মানুষের প্রতি। বাংলার মানুষ যেভাবে ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছে, সেটা মেনে নিতে না পেরে এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। অতিমারি না সামলে বাংলাকে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাংলা তথা দেশের লাখো মানুষের মৃত্যুর থেকেও তাদের কাছে ক্ষমতার লোভ অনেক বেশি। ভোটের আগে আমাদের হেনস্থা করতে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে 2014 সালে একটি স্টিং অপারেশনের নাটক সাজানো হয়েছিল। যার প্রমাণ এখনও মেলেনি। কোটি কোটি টাকা দিলেও জিততে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।”

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –

আর ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, করোনা মোকাবিলা করার সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হল। আর সেখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি করোনার সহানুভূতি দিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলে নিজেদের মুক্তির স্বাদ পাওয়া যায় তার চেষ্টা করছেন ফিরহাদ হাকিম সহ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়রা!

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বর্তমানে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। তাই সিবিআইকে দিয়ে নির্বাচনের পরে জয়লাভ করতে না পেরে তারা দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে গোটা দেশকে। দেশে প্রতি মুহূর্তে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সেদিক থেকে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লকডাউন করে অনেকটাই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে।

আর সেই কাজে যখন গোটা মন্ত্রিসভা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এদিকে আটক হওয়ার সাথে সাথেই ফেসবুকে ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও করোনা ভাইরাস নিয়ে সহানুভূতি এবং বিজেপিকে চাপে ফেলার বক্তব্য এখন জল্পনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাহলে কি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে এবং মুক্তি পেতে এখন করোনা ভাইরাস বড় হাতিয়ার তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রদের কাছে? জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!