প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণে এক গৃহবধূকে খুন। আর তারপরেই গ্রেফতার হলেন শুভেন্দু মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বিষ্ণুপুর থানার গঙ্গরাই এলাকায়। জানা গেছে, চপার দিয়ে গৃহবধূ অঞ্জনা মণ্ডলকে খুন করা হয়েছে। যে ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শুভেন্দু মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বস্তুত, বিষ্ণুপুরের গঙ্গরাই এলাকায় গৃহবধূ অঞ্জনা মণ্ডলের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল শুভেন্দু মন্ডল নামে এক ব্যক্তির। সম্প্রতি অঞ্জনা মণ্ডলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় শুভেন্দু মন্ডল। কিন্তু তাতে রাজি হননি অঞ্জনাদেবী। আর এরপর থেকেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকেন শুভেন্দুবাবু বলে অভিযোগ।

জানা যায়, এদিন ভোরে অঞ্জনাদেবী কাজ করতে যাওয়ার সময় তার পথ আটকে ধরেন শুভেন্দু মন্ডল। আর তারপরেই তিনি অঞ্জনা মণ্ডলকে চপার দিয়ে কোপাতে থাকেন। পরবর্তীতে অঞ্জনা দেবীর মৃত্যু পাশে সেই শুভেন্দু মন্ডলকে বসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর পেয়ে থানায়। আর এরপরই পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে শুভেন্দু মন্ডলকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মৃত অঞ্জনাদেবীর এক আত্মীয় বলেন, “মাস দুয়েক ধরে অঞ্জনাকে শাসানি দিচ্ছিল শুভেন্দু। আমরা বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু শুভেন্দু তারপরেও অঞ্জনাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।” অর্থাৎ একদিকে পরকীয়া এবং অন্যদিকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়া, এই দুইয়ের কারণে এবার প্রাণ দিতে হল এক গৃহবধূকে।

তবে অভিযুক্ত শুভেন্দু মন্ডলকে গ্রেপ্তার করার পর এবার তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গৃহবধূকে খুনের পেছনে সত্যিই শুভেন্দু মন্ডল জড়িত কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।