প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দাবিদাওয়া না মেটানো নিয়ে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রায় সেই ব্যাপারে মুখ খুলে কেন্দ্রকে খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর এই অবস্থায় বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যের কোষাগারকে কেন্দ্রীয় সরকার পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করল।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জিএসটি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ এখনই কোনোমতেই দেওয়া সম্ভব নয়। আর তাতেই বাংলা সহ যেসব রাজ্যে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ভালো, তারা অত্যন্ত সমস্যার মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়ে দিয়েছেন, জিএসটি চালু করার জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল। অর্থাৎ জিএসটির জন্য নির্ধারিত সমস্ত শর্ত সংবিধান স্বীকৃত। সেই শর্ত থেকে সরে আসাটা সংবিধান লঙ্ঘনেরই শামিল।

স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একদিকে যেমন রাজ্যের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও মাথাচাড়া দেবে, ঠিক তেমনই কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ তীব্র থেকে তীব্রতর হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পর্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্সের সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সচিব অজয় ভূষণ একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। আর সেখানেই বর্তমানে আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলোকে জিএসটির বকেয়া অর্থ কোনভাবেই মেটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মত অনেক রাজ্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে। তার মধ্যে একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিক দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে জিএসটির অর্থ রাজ্যকে না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হল, তাতে পশ্চিমবঙ্গ এখন চরম আর্থিক সংকটে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের শাসক দল রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলেও সোচ্চার হতে পারে। এখন শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে কেন্দ্রের ওপর চাপ দিয়ে রাজ্যের সুবিধা আদায় করতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।