এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পর রাজ্যকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া, আবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা

জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পর রাজ্যকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া, আবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একাধিক বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বারবার মতবিরোধ দেখা গেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো জিএসটি ইস্যু। গত শনিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বেশকিছু দাবি তুলেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো করোনার টিকা, ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জামের ক্ষেত্রে জিএসটির হার শূন্য করে দেওয়া। তবে, কেন্দ্র এ বিষয়ে অসম্মতি প্রকাশ করে।

অর্থমন্ত্রী আপত্তি করতে গেলে, তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। এমনকি ভিডিও কনফারেন্সে মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর এ বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র সরকার জিএসটি পরিষদকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে স্বৈরতান্ত্রিক ও সর্বশক্তিমান মনোভাব নিয়ে চালাবার চেষ্টা করছে।

এবার এর পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানালেন, এসব কথা পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল নেতৃত্বের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র স্বৈরতন্ত্রী, সর্বশক্তিমান, সর্বব্যাপী এই সমস্ত কথা বলেছেন। কিন্তু, বাংলায় শাসক দলের নেতৃত্বে আসলে সেটাই চলছে। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক হিংসার খবর আসছে, সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণের মামলা দেখে কেঁপে উঠতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় জিএসটি পরিষদে অনেক বেশি গণতন্ত্র বজায় রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অভিযোগ করেছিলেন যে, জিএসটি পরিষদে ঐক্যমত করে তোলার কোনো চেষ্টা নেই। তাঁর এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, করোনার পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসটি নিয়ে জিএসটি পরিষদে মন্ত্রীগোষ্ঠী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অমিত মিত্র তাকে নস্যাৎ করতে পারেন না।

মন্ত্রীগোষ্ঠীর সুপারিশের উপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জিএসটির রূপায়ণ কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের অধিকারিকেরাও আছেন। পশ্চিমবঙ্গের সুপারিশ মেনেই রাজ্য সরকার, পুরসভাকে ই-ইনভয়েসিং থেকে ছাড় দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই পশ্চিমবঙ্গের কথা শোনা হচ্ছে না, এই অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না।

বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কথা শোনা হয়নি, এই অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানালেন, রাজ্য সরকারের উচিত অর্থমন্ত্রীর জন্য ভালো ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। তিনি বৈঠক থেকে বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অমিত মিত্রকে সম্মান করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য তিনি সম্পূর্ণ শুনতে চান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, অমিত মিত্র দেশকে বিভ্রান্ত করছেন।

তিনি দাবি করেছেন, রাজ্য জিএসটিতে কর বসাবার ৭০% ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের মাত্র ৪৭ শতাংশ জিএসটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই জিএসটি নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের একাধিক অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!