পণ্য পরিষেবায় জিএসটি কমানোর প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর জাতীয় রাজ্য December 22, 2018 বৈঠক না করেই হঠাৎ করে বেশ কিছু পণ্য পরিষেবায় প্রধানমন্ত্রীর জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জিএসটি পরিষদকে গুরুত্ব না দিয়ে এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে কর কমানো উচিৎ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। এটা করে মোদী সংসদীয় রীতিকে উলঙ্ঘন করেছেন,এমনটাই অভিযোগে জানালেন অর্থমন্ত্রী। সংসদের অধিবেশন চলছে এই মুহূর্তে। এবং ১৯’এর লোকসভা ভোটের আগে এটাই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। কাজেই এই অধিবেশনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী সংসদ চলাকালীনই কীভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংশ্লিষ্ট ঘোষণা করলেন? প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, বিমান,সিগারেট,অ্যালকোহল,এসইউভি ছাড়া ২৮ শতাংশের গন্ডিতে থাকা বাকি সব পণ্যের জিএসটি কমিয়ে ১৮% করারা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জিএসটি বৈঠকের আগেই কর কমানো সংক্রান্ত এ ধরণের ঘোষণা করার অর্থ হল পরিষদের অধিকারকে খর্ব করা,এমনটাই বক্তব্য অমিত মিত্রের। কারণ কর সংস্কারের মধ্য দিয়েই গোটা দেশেই একটি পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে করের বৃদ্ধি-হ্রাস সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত জিএসটি পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করার পরই নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর এই পরিষদেরই প্রধান হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও এই পরিষদের সদস্য৷ এখনো পর্যন্ত জিএসটি সংক্রান্ত যা কিছু পরিবর্তন হয়েছে সবটাই হয়েছে পরিষদের সর্বসম্মতিতেই। আগামী দিনে সেটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে পন্য পরিষেবায় জিএসটি কমানোর যে বার্তা দিলেন,তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। উল্লেখ্য,এই ইস্যুকে ভিত্তি করে লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্যসরকারের কেন্দ্রবিরোধীতার পথ আরো প্রশস্ত হল। এখন রাজ্যসরকার এই জিএসটি ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদীবিরোধী কোন কোন কর্মসূচিতে ময়দানে নামে সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। আপনার মতামত জানান -