এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গুজরাটে এবারেও 26 এ 26 করার লক্ষ্যে নামলেও গ্রামীণ ভোট কিন্তু চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে

গুজরাটে এবারেও 26 এ 26 করার লক্ষ্যে নামলেও গ্রামীণ ভোট কিন্তু চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে


কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাসতালুক বলে পরিচিত গুজরাটে এবার ঠিক কি সমীকরন তৈরি হবে লোকসভা ভোটে? এবার তা নিয়েই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চলছে জোর জল্পনা।

প্রসঙ্গত, গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটে 26 টি আসনের মধ্যে 26 টিই দখল করেছিল বিজেপি। ফলে এর থেকে বেশি ভালো ফল করা তাদের পক্ষে আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আর তাই এখন আদৌ বিজেপি গতবারের লোকসভা ভোটের মত এই গুজরাটের সব আসনই ধরে রাখতে পারে, নাকি এখানে থাবা বসায় বিরোধীরা তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পর গত 2017 সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটে অনেকটাই ধাক্কা খেতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। খুব কষ্ট করে কোনরকমে বিজেপি এই গুজরাট বিধানসভায় নিজেদের দখলে রাখলেও কংগ্রেস এখানকার 80 টি আসন দখল করে রীতিমতো গেরুয়া শিবিরের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গ্রামাঞ্চল বিজেপির পাশে না থাকলেও শহরের অনেকাংশেই গেরুয়া শিবিরের পাশে থাকবে বলে দাবি বিজেপির।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, গত 2014 সালে বিজেপি গুজরাটে বড় জয় পাওয়ার পরেও মোদি প্রভাবিত এই রাজ্যে হার্দিক প্যাটেল ও পাটীদারদের আন্দোলন, কৃষকদের ক্ষতি এবং আদিবাসীদের ক্ষোভের জেরে অনেকটাই ভোটব্যাঙ্ক কমতে পারে বিজেপির। অন্যদিকে হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক গুজরাটে অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী গুজরাটের মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সেখানে কৃষকদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন।

কিন্তু শহরের ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির পক্ষে আছে বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা দাবি করলেও উত্তর গান্ধীনগর এবং কালোল কেন্দ্রে গত 2017 সালের বিধানসভায় কংগ্রেস জয়ী হওয়ায় এবং সানন্দ কেন্দ্রে মোটে সাত হাজার ভোটে বিজেপি জয়লাভ করায় লোকসভা নির্বাচনে সেই গুজরাটের শহুরে এলাকার ভোটাররা আদৌ কতটা বিজেপির প্রতি সমর্থন রাখবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। যদিও বা এই সমস্ত কিছুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি মুখপাত্র নবীন প্যাটেল।

এদিন তিনি বলেন, “2014 সালের পর গত 5 বছরে মেট্রো রেল, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন, গোটা রাজ্যকে রেল, সড়ক ও বিমান ব্যবস্থায় উন্নতিকরণ করা ও সৌরাষ্ট্র উন্নয়ন হয়েছে। তাই এখানে বিজেপির ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই।” কিন্তু ভয়ই যদি না থাকবে, তাহলে সেই গুজরাটি সিংহভাগ কেন্দ্রে জয়ী থাকা সাংসদদের কেন সরিয়ে দিয়ে সেখানে প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ আনা হচ্ছে?

বিজেপি সূত্রের খবর, যত কম মার্জিনের আসন ছিল, তার সব আসনের প্রার্থীকেই বদলে ফেলা হয়েছে। এদিকে গুজরাট প্রসঙ্গে আশাবাদী কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কংগ্রেস নেতা সি জে চাদভা বলেন, “মোদীজি বলছেন উনি নাকি এবার বেঙ্গলে সারপ্রাইজ দেখাবেন। কিন্তু উনি এটা বুঝতে পারছেন না যে তার থেকে বেশি বিস্ময় অপেক্ষা করছে ওনার নিজের রাজ্যে। ভোটের পর আপনারাই তা মিলিয়ে নেবেন।” সব মিলিয়ে দাবি পাল্টা দাবির মাঝেই এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে কি হয়, কে হাসে শেষ হাসি – তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!