এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরপর পাঁচবার জেতা কংগ্রেসের গড় হেলায় ছিনিয়ে নিতেই ২০১৯-এর জন্য আত্মবিশ্বাসী হেভিওয়েট বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

পরপর পাঁচবার জেতা কংগ্রেসের গড় হেলায় ছিনিয়ে নিতেই ২০১৯-এর জন্য আত্মবিশ্বাসী হেভিওয়েট বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী


নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গড় বলে পরিচিত গুজরাটে বিজেপি, নির্বাচনে ভালো ফল করতেই আত্মবিশ্বাসী কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানীর গলায়। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ফের জয় হবে বিজেপির, এমনটাই বক্তব্যে জানালেন এদিন। কেন এমন কথা বললেন সে ব্যাখ্যাও দিয়ে দিলেন এই বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। দিন কয়েক আগে হওয়া গুজরাটের জশদা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হল এদিন।

ফলাফল সামনে আসতেই জয়জয়কার গেরুয়া শিবিরের। প্রায় ১৯ হাজার ভোটে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসকে হারিয়েছে বিজেপি। এই জয়ের সূত্র ধরেই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টানলেন গুজরাটের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর ফেলে আসা জুতোতে পা গলানো বিজয় রূপানীর বক্তব্য, ”এই জয়ের ফলেই ইঙ্গিত মিলছে যে ২০১৯ সালে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ভোটে জিতবে”।

উল্লেখ্য, গুজরাটে মোদীর শাসনকাল শেষ হওয়ার পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। ওই নির্বাচনে জিতলেও তেমন ভালো ফলাফল হয় না বিজেপির। ১৮২ আসনের বিধানসভায় মাত্র ৯৯ তেই থেমে যায় বিজেপির রথের চাকা। বিজেপির এই জয়কে তেমন মান্যতা দেয়নি বিরোধীরা। কংগ্রেস সহ অন্যান্য প্রতিপক্ষদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি জিতলেও নৈতিক জয় হয়েছে তাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ গুজরাটে বিজেপির জনসমর্থন থেকে শুরু করে সাংগঠনিক শক্তি ছিল প্রায় দুর্ভেদ্য। নরেন্দ্র মোদীর প্রভাব ক্রমশ গুজরাটকে বিজেপি প্রভাবিত রাজ্যে পরিণত করেছিল। তা সত্ত্বেও, এই কম আসনে বিজেপির জয়কে হারের মুখ থেকে বাঁচা বলেই ব্যাখ্যা করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, এদিন কুরভানের জয় বিরোধীদের যেন যোগ্য জবাব জবাব দিয়ে দিল বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের আধিকারিকেরা।

এমনিতেই, এই উপনির্বাচনে ‘জয়ের মার্জিন’ অনেক বেশি – বেশ বড়সড় ভোটের ফারাকে কংগ্রেসকে হারাল বিজেপি। তার উপর যে আসনে এদিন বিজেপির জয় হল সেখানে গত পাঁচ বার কংগ্রেসই জিতেছে – কার্যত ছিল কংগ্রেসের গড়। এবার এই উপনির্বাচনে কুরভান বিজেপির প্রার্থী হিসাবে ময়দানে নেমেই যেন সেঞ্চুরি হাঁকালেন বলে ধারণা গেরুয়া শিবিরের।

ফলত এদিনের সাফল্যের পর অনেকটা মনোবল ফিরে পেলেন বিজয় রূপানীরা বলে মনে করা হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অপ্রত্যাশিত খারাপ ফলাফল অত্যন্ত চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল বিজেপির শীর্ষমহলকে। বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ফলত, ২০১৪ সালের মোদী ম্যাজিক শেষ হয়ে গিয়েছে – ১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় অসম্ভব এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বিরোধীমহলে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ঘোষিত মোদী-বিরোধীরা তো আওয়াজই তুলে দিয়েছেন – ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ! এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই সংশ্লিষ্ট উপনির্বাচনে মোদীর রাজ্যেই প্রায় ১৯ হাজার ভোটের কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপির জয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই আত্মবিশ্বাসী সুরই শোনা গেল তাঁর কথায় – এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!