এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গুলি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাল্টা অভিযোগ, কমিশনের কাছে গেল লিখিত বিবৃতি

গুলি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাল্টা অভিযোগ, কমিশনের কাছে গেল লিখিত বিবৃতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চতুর্থ দফার নির্বাচনের সকাল থেকে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য। আজকে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা বিধানসভায় নির্বাচন চলছে। আর সেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও 4 জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যে 4 জনকে গুলি করে মারা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই তাঁদের সক্রিয় কর্মী।

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে জোড়পাটকির এক নম্বর বুথের ভোটার হামিদুল হক, মনিরুল হক, সামিউল মিঁয়া, আমজাদ হোসেন নামে চার যুবক কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভোটের লাইনে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনী এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বহু তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই  মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কমিশন সবিস্তারে বিশেষ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে বলা হয়েছে, প্রায় 300 জনের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল। তাই আত্মরক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। কোচবিহারের জোড়াপাটকিতে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক কমিশনে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেখানে আরো বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে। বলা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করার চেষ্টা চালাচ্ছিল একদল এবং সেই দলের মধ্যে দুষ্কৃতীরা মিশে ছিল।

তাই তাঁদের হাত থেকে বাঁচার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়েছে। যথারীতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও আদতে এই ঘটনার জন্য কে দায়ী, তা নিয়ে চলছে বাকবিতণ্ডা। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, গন্ডগোল হলে সেক্ষেত্রে পায়ে বা হাঁটুতে গুলি করার নিয়ম। নিয়ম ভেঙে কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। আপাতত পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কোচবিহারে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!