এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গুমনামী বাবা এবং নেতাজি কি একই! কমিশনের পর্যবেক্ষণে উঠে এল আসল কথা, জেনে নিন বিস্তারিত

গুমনামী বাবা এবং নেতাজি কি একই! কমিশনের পর্যবেক্ষণে উঠে এল আসল কথা, জেনে নিন বিস্তারিত


 

ভারতবর্ষের বুকে এমন একজন মনীষী তথা দেশপ্রেমিক রয়েছেন, যার জন্মদিবস মহাসমারোহে পালিত হলেও মৃত্যুদিবস সম্পর্কে জানেন না কেউ। তিনি আর কেউ নন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আদৌ তিনি বেঁচে আছেন, নাকি তিনি পরলোকগমন করেছেন! সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পাকাপাকি খবর নেই কারও কাছে।

ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে নানা মহলে চর্চা, তদন্ত বিভিন্ন কিছু চলছে। কিন্তু তাও সত্য উদঘাটিত হয়নি। তবে মাঝে একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, যে গুমনামি বাবা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কি একই ব্যক্তি! যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে অবশেষে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায় কমিশনের পর্যবেক্ষণে উঠে এল একটি তথ্য।

সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, গুমনামী বাবা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দুইজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। তবে গুমনামী বাবার সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গলার স্বরের অনেকটা মিল রয়েছে বলে কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

বস্তুত, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়কালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আর গুমনামী বাবা একই বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। 1985 সালের 16 সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সেই গুমনামী বাবা। যার শেষকৃত্য হয় অযোধ্যার গুপ্তার ঘাটে। অনেকে দাবি করেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর দিন সম্পর্কে কারও কোনো ধারণা না থাকলেও, এই গুমনামী বাবার মৃত্যুই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু। অর্থাৎ সেই সময় অনেকেই এই গুমনামী বাবাকেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলে দাবি করেছিলেন।

তবে অবশেষে এই ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট জমা দিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায় কমিশন। যেখানে তারা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, এই গুমনামি বাবা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পূর্ণ দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি। সূত্রের খবর, এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “অযোধ্যায় যেখানে গুমনামী বাবা শেষ জীবন পর্যন্ত ছিলেন, সেখানে পাওয়া সামগ্রী থেকে উনি যে নেতাজী ছিলেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না।”

আর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণের ফলে সাধারণ মানুষের মনের কোণায় নেতাজিকে নিয়ে যে আবেগ জন্মেছিল, তা যে অনেকটাই ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ হয়ে গেল। অর্থাৎ গুমনামি বাবা আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একই বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উঠে এল রিপোর্টে। যার ফলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত থাকল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!