এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শুভেন্দুকে সরাতে অনাস্থা, নেপথ্যে তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা!

গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শুভেন্দুকে সরাতে অনাস্থা, নেপথ্যে তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দিক থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘরে এবং বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে একচুল জায়গা ছেড়ে দেবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে পাল্টা সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও নানা কৌশল গ্রহণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কাঁথির সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য নিয়ে আসা হল অনাস্থা প্রস্তাব। ডিরেক্টরদের একাংশ এই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বলে খবর।

খুব তাড়াতাড়ি গোটা বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তেমন কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, ডিরেক্টরদের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে, এর পেছনে তৃণমূলের একাংশের ইন্ধন রয়েছে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে রাখতেই ডিরেক্টরদের দিয়ে তৃণমূলের এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কৌশল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, কাঁথি সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে এখনও পর্যন্ত রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার সময় বিধায়ক এবং মন্ত্রী পদ ছেড়ে দিলেও কাঁথি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান পদ ছাড়েননি তিনি। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর শুভেন্দুবাবু যখন নানা দিক থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চাইছেন, তখন পাল্টা তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য কৌশল অবলম্বন করেছে শাসকদল।

আর এই পরিস্থিতিতে কাঁথি সমবায় ব্যাংকের 14 জন ডিরেক্টরের মধ্যে 12 জন ডিরেক্টরের ভোটাভুটির ক্ষমতা থাকার কারণে তারা সকলেই শুভেন্দুবাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর জন্য অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত শুভেন্দু অধিকারীকে এই কাঁথি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে শাসক শিবিরকে চাপে রাখা শুভেন্দু অধিকারীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে পাল্টা যে তার প্রতি চাপ আনতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই ব্যাংকের ডিরেক্টরদের পক্ষ থেকে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “বেআইনিভাবে প্রচুর ঋণ দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আরবিআইয়ের ধারা মানা হচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকের ডিরেক্টররা যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তা অবশ্যই গ্রহণ যোগ্য।” আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি সামনে আসার পরেই সমালোচক মহলের একাংশ বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বড় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে ডিরেক্টররা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, তার পেছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। অর্থাৎ কাঁথি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে এবার পাল্টা কৌশল প্রয়োগ করতে দেখা গেল শাসক শিবিরকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!